হালকা ঠান্ডায় সক্কাল সক্কাল ব্যাঙ্কের লাইন ক্যানিঙে। নিজস্ব চিত্র।
আশ্বাস মিলছে অনেক কিছু। কিন্তু নোট বাতিলের ঘোষণার পরে এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও দুই ২৪ পরগনায় ভোগান্তি কমছে না এখনও।
মঙ্গলবারও চালু হল না বেশিরভাগ এটিএম। কোথাও দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন বৃদ্ধ। আবার কোথাও পুরনো নোটে খাজনা নিতে অস্বীকার করায় থানায় দায়ের হল অভিযোগ। কোথাও গ্রাহকেরা মারধর করলেন সিভিক ভলান্টিয়ার্সকে।
গত কয়েক দিন ধরেই উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাঙ্কগুলির সামনে রাত থেকে লাইন পড়ে যাচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের অসুস্থ হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। মঙ্গলবার জীবনতলা থানার পাশে একটি ব্যাঙ্কে ভোরবেলা থেকে লাইন দিয়েছিলেন মৌখালির বাসিন্দা আবু বক্কর পিয়াদা। দীর্ঘক্ষণ লাইনে থাকার পরে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে একটি বেঞ্চে শুয়ে পড়েন তিনি। উপস্থিত পুলিশ কর্মীরা তাঁকে হাওয়া করে এবং জল খাইয়ে কিছুটা সুস্থ করে তোলেন। তার পর তিনি জীবনতলা থানার পুলিশ কর্মীদের জানান, তাঁর ৭৭ বছর বয়স। ওষুধ কেনার জন্য টাকা দরকার। কিন্তু কেউ ভাঙিয়ে দিচ্ছে না। তাই টাকা তোলার জন্য লাইন দিয়েছেন। এর পরে পুলিশের পক্ষ থেকে বয়স্ক এবং মহিলাদের জন্য আলাদা লাইনের ব্যবস্থা করেন। মঙ্গলবার বিকেলে সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও বসিরহাটের পিঁফায় একটি ব্যাঙ্কে ঢুকতে যান কয়েকজন গ্রাহক। কর্তব্যরত এক সিভিক ভলান্টিয়ার্স বাধা দিলে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, খাদিমুল ইসলাম নামে এক যুবককে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ দিন বসিরহাটের বিভিন্ন জায়গাতেই বিক্ষিপ্ত গোলমাল হয়েছে। বেশিরভাগ ওষুধের দোকান পুরনো ৫০০-১০০০ টাকার নোট নিতে অস্বীকার করেছে। বসিরহাটের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ দে এবং প্রতাপ সিংহ নামে দু’জনের দাবি, সরকারি খাজনা বাবদ ৫০০ টাকা দিতে গেলে বসিরহাট ১ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কর্মীরা সেটি নিতে অস্বীকার করেন। বিষয়টি জানিয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন তাঁরা। যদিও ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রে দাবি করা হয়েছে, এ রকম কোনও ঘটনা ঘটেনি।