RG Kar Financial Irregularity

বাড়িতে সাত ঘণ্টা তল্লাশির পর প্রসূনকে আটক করল ইডি, নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সন্দীপের সেই বাংলোয়

শুক্রবার সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনার সুভাষগ্রামে প্রসূনের বাড়িতে যান ইডির বেশ কয়েক জন আধিকারিক। তার পর টানা তল্লাশি শুরু হয়। দুপুরে প্রসূনকে আটক করে বাড়ির বাইরে নিয়ে আসা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

সুভাষগ্রাম শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৭
Share:

প্রসূন চট্টোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

বাড়িতে প্রায় সাত ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পর ইডি আটক করল সন্দীপ ঘোষের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে। শুক্রবার সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুভাষগ্রামে প্রসূনের বাড়িতে যান ইডির বেশ কয়েক জন আধিকারিক। তার পর টানা তল্লাশি শুরু হয়। দুপুর ২টো নাগাদ প্রসূনকে আটক করে বাড়ির বাইরে নিয়ে আসা হয়। প্রসূনের বাড়ির বাইরে স্থানীয় কয়েক জন ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান দেন।

Advertisement

ইডি সূত্রে খবর, প্রসূনকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ক্যানিংয়ের নারায়ণপুর মৌজায় সন্দীপের সেই বাংলোয়। প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডে সন্দীপ গ্রেফতার হওয়ার পরেই ক্যানি‌ংয়ে তাঁর একটি বাংলোর কথা জানা গিয়েছে। কয়েকশো বিঘা ফাঁকা জমির মাঝে তৈরি হওয়া বাংলোটির নাম ‘সঙ্গীতাসন্দীপ ভিলা’। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, এই বাংলোটি সন্দীপের। পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ‘ডাক্তারবাবুকে’ এই বাংলোতে আসতেও দেখছেন তাঁরা।

অন্য দিকে, প্রসূন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসাবে কাজ করতেন। ‘সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ’ হিসাবেই পরিচিত ছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডের আবহে ওই হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদ থেকে সরিয়ে এই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজেই বদলি করা হয়েছিল সন্দীপকে। যদিও চিকিৎসকদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভের জেরে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে পারেননি তিনি।

Advertisement

আরজি কর-কাণ্ডে একটি ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছিল যে সেমিনার হল মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেই সেমিনার হলেই বহু মানুষের ভিড়। ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছিল, ঘরের ভিতরে বহু লোকের ভিড়। অন্তত জনা তিরিশেক। দাবি, তাঁদের মধ্যেই ছিলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের তৎকালীন আপ্তসহায়ক প্রসূন চট্টোপাধ্যায়, সন্দীপের আইনজীবী শান্তনু দে, হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিনের শিক্ষক দেবাশিস সোম। আরজি কর মেডিক্যালের আউটপোস্টের ওসি সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়কেও ওই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে বলে দাবি করা হয়। (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)

প্রসূন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত হয়েও কেন আরজি কর হাসপাতালে গিয়েছিলেন, ভাইরাল ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরেই তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন চিকিৎসকদের একাংশ। ‘সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ’ প্রসূনের বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ দেখান ন্যাশনাল মেডিক্যালের চিকিৎসকেরা। ইডি সূত্রে জানা যায়, আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে তাদের নজরে রয়েছেন প্রসূন। তদন্তের সূত্রেই শুক্রবার সকালে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যান তদন্তকারীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement