গরম পড়তেই জলকষ্ট

গঙ্গা-পাড়ের এলাকা। অথচ সেখানেই জলাভাব! এমনই অবস্থা বজবজ পুর এলাকার। স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, কয়েকটি জায়গায় দিনে এক বারও টাইমকলের জল মিলছে না। গরম পড়তেই শুরু হয়ে গিয়েছে হাহাকার। পুরভোটের আগে এলাকার পানীয় জলের জন্য ক্ষোভ বাড়তে থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে তৃণমূলের বিদায়ী পুরবোর্ড। এই সুযোগে মাঠে নেমে পড়েছে বিরোধী দল সিপিএম।

Advertisement

সুপ্রিয় তরফদার

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৫ ০১:৪৯
Share:

চেনা ছবি। ছবি: অরুণ লোধ।

গঙ্গা-পাড়ের এলাকা। অথচ সেখানেই জলাভাব! এমনই অবস্থা বজবজ পুর এলাকার।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, কয়েকটি জায়গায় দিনে এক বারও টাইমকলের জল মিলছে না। গরম পড়তেই শুরু হয়ে গিয়েছে হাহাকার। পুরভোটের আগে এলাকার পানীয় জলের জন্য ক্ষোভ বাড়তে থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে তৃণমূলের বিদায়ী পুরবোর্ড। এই সুযোগে মাঠে নেমে পড়েছে বিরোধী দল সিপিএম।

বজবজ পুর এলাকায় মোট ২০টি ওয়ার্ড। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতি দিন দু’বার টাইমকলে জল আসার কথা। বেশ কিছু দিন ধরেই সেই জল মিলছে না। তাঁদের অভিযোগ, রাতে কিছু ক্ষণের জন্য জল এলেও তা যথেষ্ট নয়। এমনকী সেই জল আনতে লম্বা লাইন পড়ছে। কোথাও আবার কে আগে জল পাবেন তা নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে ঝামেলাও হচ্ছে। যখন কলে জল আসে তখন বাসিন্দাদের কলের মুখে পাইপ লাগিয়ে টেনে জল বের করে আনতে হয়। কখনও হাওয়া আসে। কখনও বা জল বেরোয়। এমনটাই জানাচ্ছেন বাসিন্দারা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সারা বছর পানীয় জলের অভাব থাকলেও প্রতি গরমে এই সমস্যা বাড়ে। এই পুর এলাকাতেই কলের মুখে অভিনব হ্যান্ড টিউবওয়েল লাগিয়ে বেশি জল তোলা হত। গরম পড়তেই এ ভাবেও জল মিলছে না।

Advertisement

বাদামতলা, চড়িয়াল, কয়লা সড়ক-সহ পুর-এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে একই অবস্থা। প্রায় ৭০ হাজার বাসিন্দা জলের সমস্যায় ভুগছেন। টাইমকলের সংখ্যা যথেষ্ট কম বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। তার উপরে অধিকাংশ টাইমকলে জল আসে না। এমনকী বিভিন্ন স্কুলের কাছের টাইমকলগুলিতেও জল পড়ে না।

স্থানীয় বাসিন্দা প্রকাশ সাউ বলেন, “আমরা পুর এলাকায় বাস করি। পাশেই গঙ্গা। অথচ সারা দিন হত্যে দিয়েও পানীয় জল পাওয়া যায় না।” এক বাসিন্দা জানান, পানীয় জল না পেয়ে গঙ্গার জলই পান করতে হচ্ছে। সেই জল শরীরের পক্ষে যে ক্ষতিকারক তা স্বীকার করছেন সকলে।

বিরোধীরা মনে করছেন জল সরবরাহের চাপ কম থাকায় এই অবস্থা। পুরসভার বিরোধী নেতা সিপিএমের প্রদ্যুৎ মজুমদার বলেন, “সিপিএমের বোর্ড ক্ষমতায় থাকায় সময় জলের চাপ বেশি ছিল। তখন সমস্যা হত না। এখন চাপ বেশ কমে যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।”

কেন এই অবস্থা? বজবজ পুরসভা সূত্রের খবর, কলকাতার গার্ডেনরিচ জলপ্রকল্প থেকে জল বজবজ পুর এলাকায় আসে। এই জলপ্রকল্প থেকে কলকাতা, মহেশতলা, বজবজ ও পূজালী পুর এলাকাও জল পায়। ফলে জলের চাপ বেশ কম থাকে। কলকাতা পুরসভার জল বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল বিভাস মাইতি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement