গত বছর পানিহাটির দণ্ডমহোৎসব বা দই-চিঁড়ে উৎসবে অত্যধিক গরম ও ভিড়ের চাপে মৃত্যু হয়েছিল তিন জনের। প্রতীকী ছবি।
গত বছর পানিহাটির দণ্ডমহোৎসব বা দই-চিঁড়ে উৎসবে অত্যধিক গরম ও ভিড়ের চাপে মৃত্যু হয়েছিল তিন জনের। এ বার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে মঙ্গলবার বৈঠকে বসেন প্রশাসনিক কর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। সেখানেই পুলিশের সঙ্গে বিধায়কের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর। যা সামলাতে হস্তক্ষেপ করতে হয় খোদ জেলাশাসককে। সূত্রের খবর, কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়ে যায়।
এ বছর ওই উৎসব হবে আগামী ২ জুন। তার আগে এ দিন পানিহাটি পুরসভায় বৈঠকে বসেন জেলাশাসক শরদ দ্বিবেদী, ব্যারাকপুরের নগরপাল অলোক রাজোরিয়া, মহকুমাশাসক সৌরভ বারিক, সাংসদ সৌগত রায়, বিধায়ক নির্মল ঘোষ-সহ জেলা প্রশাসন ও পুরকর্তারা। ছিলেন ওই দই-চিঁড়ে উৎসব কমিটি ও ইস্কন মন্দির কর্তৃপক্ষও। সূত্রের খবর, বৈঠকে ঢোকা-বেরোনোর রাস্তা ও ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে সকলেই মতামত জানাচ্ছিলেন। স্থানীয় এক পুলিশ আধিকারিক পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজ়েন্টেশনের মাধ্যমে ভিড় নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি বোঝানোর সময়ে ওই দিন মহোৎসবতলা ঘাটে ফেরি চলাচল বন্ধের প্রস্তাব দেন। সূত্রের খবর, তাতেই রেগে গিয়ে বিধায়ক নির্মল ওই পুলিশ আধিকারিকের উদ্দেশে বলেন, ‘‘গত বার ভিতরে লোক মরেছিল। এ বার বাইরে মরবে।’’ এমনকি, ওই আধিকারিক থাকলে সমস্যা আরও বাড়বে বলেও বিধায়ক অভিযোগ করেন।তাতেই দু’জনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়। নগরপালও বিধায়কের কথায় আপত্তি জানান। পরে নগরপাল ও জেলাশাসক একসঙ্গে বেরিয়ে যান।
এ দিন মহোৎসবতলা ঘাট থেকে লঞ্চে করে এলাকা পরিদর্শনের কথা থাকলেও প্রশাসনিক কর্তারা সেখানে যাননি। তবে বৈঠকে বচসা প্রসঙ্গেও প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলতে রাজি হননি। নির্মল বলেন, ‘‘বৈঠকে থানার আইসি-র সঙ্গে আমার কোনও কথাই হয়নি। সব অপপ্রচার করা হচ্ছে।” আর সাংসদ সৌগত বলেন, “কিছু হয়ে থাকলেও এ বিষয়ে কিছু বলব না।”