উড়ান: এ সব দৃশ্যই ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। ছবি: বন দফতরের সৌজন্যে।
শেষ হল সুন্দরবন পাখি উৎসব। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল উৎসব। তিন দিন ধরে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী, খাঁড়িতে ঘুরে পাখির ছবি তুলেছেন পাখিপ্রেমীরা। নানা তথ্য সংগ্রহ করেছেন। সেই ছবি ও তথ্য শুক্রবার সকালে বন দফতরের কাছে জমা দেন তাঁরা।
বন দফতর জানিয়েছে, এই তিন দিনে প্রায় ১৪৫টি প্রজাতির পাখির দেখা মিলেছে। ছ’টি দলে ভাগ হয়ে পাখিপ্রেমীরা জঙ্গলের ভিতরে যান। কলসদ্বীপের দিকে যাঁরা গিয়েছিলেন, তাঁরা সর্বাধিক ৯৮টি প্রজাতির পাখির দেখা পেয়েছেন। এ ছাড়াও, অন্যান্য দলগুলি ৫০টির বেশি প্রজাতির পাখি দেখেছেন, ছবিও তুলেছেন। বহু বন্য জন্তুর দেখা পেয়েছেন অনেকে।
পাখি উৎসব থেকে বন দফতর বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শীতে যে সমস্ত পাখি সুন্দরবন এলাকায় ডিম পাড়ার জন্য আসে, তাদের নিরাপত্তার দিকে জোর দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। সুন্দরবনের জঙ্গল এলাকাই শুধু নয়, আশপাশের লোকালয়গুলিতেও পাখিদের নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। পাখি শিকারিরা যাতে পাখি ধরে তাদের হত্যার সুযোগ না পায়, তা দেখা হবে। পাখিদের জন্য নিরাপদ জায়গা তৈরি করতে হবে, যেখানে পাখিরা নিশ্চিন্তে বংশবৃদ্ধি করতে পারবে। এলাকার মানুষকে পাখিদের রক্ষার বিষয়ে আরও বেশি করে সচেতন করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর অজয়কুমার দাস বলেন, “এই প্রথম পাখি উৎসব হল সুন্দরবনে। আগামী দিনে যাতে এমন কর্মসূচি আরও নেওয়া যায়, সে দিকে আমাদের নজর থাকবে। সেই সঙ্গে কী ভাবে সুন্দরবনে পাখিদের আরও বেশি করে সংরক্ষণ করা যায়, সে বিষয়েও আমরা উদ্যোগ করব।”
ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর জোন্স জাস্টিন বলেন, “পাখিদের জন্য যাতে নিরাপদ স্থান হয়ে উঠতে পারে এই সুন্দরবন। সে বিষয়ের উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে।”
উৎসবে যোগ দিতে পেরে উচ্ছ্বসিত পাখিপ্রেমীরা। প্রচুর পরিযায়ী পাখিও দেখেছেন বলে জানালেন অনেকে।