—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বহু পুজো কমিটি খরচ কমিয়ে দেওয়ায় এবং কিছু পুজো আর জি কর-কাণ্ডের জেরে তুলনায় অনাড়ম্বর ভাবে হওয়ায় রুটিরুজিতে টান পড়েছে ঢাকিদের।
বসিরহাটের সোলাদানা, ভ্যাবলা, হাসনাবাদের ভেবিয়া, হাড়োয়ার গোপালপুর, লতার বাগান বাদুড়িয়া, মলেয়াপুর এলাকায় বহু ঢাকির বাস। লতার বাগানের দেবেন দাস বলেন, ‘‘করোনার কারণে এক সময়ে ঘরে বসে দিন কেটেছে। কোনও সরকারি সাহায্য মেলেনি। এখন আবার ঠিক মতো মজুরি মিলছে না। প্রায় সব পুজোর বাজেট কমে যাওয়ায় এই পরিস্থিতি।’’ হাড়োয়ার বিশু দাস, রতন দাসেরা বলেন, ‘‘গত বছরও পুজোর আগে বিভিন্ন এলাকার ঢাকিরা পুজোর আগে ঢাক সারাতে আসতেন। গ্রামে গ্রামে গিয়েও ঢাক সারাতে হত। এ বার কাজ খুবই কম।’’ বসিরহাটের ঢাক বাদক মহাদেব দাসের কথায়, ‘‘মধ্যমগ্রামের একটি পুজো মণ্ডপে প্রতি বছর ঢাক বাজাই। মেলে দশ হাজার টাকা। সঙ্গে থাকে বকশিস। এ বছর পুজো কমিটি বাজেট কমিয়ে দেওয়ায় ৫ হাজার টাকা দেবে বলেছে।’’ রাখাল দাস জানালেন, কলকাতার তেঘরিয়া অর্জুনপুরে একটি মণ্ডপে ঢাক বাজানোর কাজে যেতেন। এ বছর পুজা কমিটি জানিয়েছে, আয়োজন ছোট। ফলে এ বছর কাজ পাননি রাখাল। বাদুড়িয়ার মলেয়াপুর, যদুরহাটি, গোকনারা এলাকায় ঢাকিরা জানালেন, স্থানীয় পুজো মণ্ডপে ছোট করে পুজো হবে। গত বছরের থেকে অর্ধেক টাকায় ঢাক বাজাতে রাজি হতে হয়েছে।
অনেক পুজো উদ্যোক্তাই জানালেন, স্পনসর কম আসছে। চাঁদা সে ভাবে উঠছে না। সবই আর জি কর-কাণ্ডের জের বলে মনে করছেন কেউ কেউ। এই পরিস্থিতিতে বাজেট কমাতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।