বারুইপুর মহিলা থানা। —ছবি : সংগৃহীত
একটা সময়ে ভাড়া বাড়িতেই চলত বারুইপুর মহিলা থানার কাজকর্ম। পরে নিজস্ব ভবন তৈরি হয়। মহকুমার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমস্যা নিয়ে মহিলারা আসেন থানায়। বিভিন্ন মামলায় এই থানার সাফল্যও রয়েছে। তবে পরিকাঠামো নিয়ে অভিযোগ বিস্তর। নিজস্ব ভবন থাকলেও জায়গার অভাব চোখে পড়ে। পুলিশকর্মীর সংখ্যাও অপ্রতুল।
বছর দশেক আগে তৈরি হয়েছিল বারুইপুর মহিলা থানা। প্রাথমিক ভাবে বারুইপুরের মূল শহর থেকে কিছুটা দূরে মদারাট পঞ্চায়েত এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থানার কাজকর্ম চলত। ২০১৯ সাল নাগাদ বারুইপুরের মূল থানা লাগোয়া ভবনেই উঠে আসে মহিলা থানা। বিভিন্ন সমস্যায় মহিলারা এই থানার দ্বারস্থ হন। পুলিশ সূত্রের খবর, বছরে গড়ে অন্তত দেড়শো অভিযোগ জমা পড়ে মহিলা থানায়।
এখানে এসে সমস্যার সমাধান হয়েছে বলেও জানালেন অনেকে। মহিলা থানার এক আধিকারিক জানান, গত বছর দু’য়েকের মধ্যে এই থানার অধীন ছ’টি মামলার নিষ্পত্তি হয়ে অপরাধীর শাস্তি ঘোষণা হয়েছে। আরও অন্তত দু’টি মামলায় অপরাধীর শাস্তি ঘোষণা হতে চলেছে শীঘ্রই। অন্যান্য একাধিক মামলাতেও অপরাধীরা গ্রেফতার হয়েছে।
মহিলাদের সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি আনুষাঙ্গিক নানা কাজেও এগিয়ে রয়েছে বারুইপুর মহিলা থানা। মহিলা থানার আইসির উদ্যোগে কিছু দিন আগে থানা ভবনে পথশিশুদের পড়ানোর উদ্যোগ করা হয়। বাল্যবিবাহ, নারীপাচারের মতো বিভিন্ন বিষয় রুখতেও নিয়মিত কাজ করছে এই থানা।
তবে কর্মীর অভাব প্রকট। থানা সূত্রের খবর, অন্তত আট জন সাব-ইনস্পেক্টর প্রয়োজন। সেখানে এক জনও সাব-ইনস্পেক্টর নেই। আইসি ছাড়া রয়েছেন মাত্র তিন জন এএসআই (অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর)। থানায় মহিলা কনস্টেবলের সংখ্যাও প্রয়োজনের তুলনায় কম।
থানা ভবন নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় জায়গা কম। নিয়মিত কাজকর্মে সমস্যা হচ্ছে। পুলিশকর্মীদের থাকার জায়গারও অভাব। থানায় আলাদা লকআপ আছে। তবে সেখানে সিসি ক্যামেরা নজরদারির ব্যবস্থা করা যায়নি। ফলে মহিলা থানার লকআপে কাউকে রাখা হয় না। অভিযুক্তদের রাখা হয় বারুইপুরের মূল থানার লকআপে।
বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস বলেন, “বারুইপুর মহিলা থানা খুব ভাল কাজ করছে। মহিলাদের বিভিন্ন সমস্যা দ্রুত সমাধান করেছে। আইসি নিজস্ব যোগাযোগে বহু পাচার, বাল্যবিবাহ আটকেছেন। সমস্যা যা আছে, তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখছেন।”