ধৃত: মইউদ্দিন মোল্লা।
স্কুল ছুটির পরে দীর্ঘক্ষণ বাড়ি ফেরেনি নবম শ্রেণির ছাত্রীটি। রাতে তিনটি ছেলে মেয়েটিকে তার দাদুর বাড়ির কাছে ফেলে রেখে পালাচ্ছিল। সন্দেহ হওয়ায় তাদের একজনকে ধরে ফেলে পড়শিরা। রাতেই মেয়েটি তার মাকে জানায়, তাকে ধর্ষণ করেছে ওই তিনটি ছেলে। মায়ের দাবি, পরদিন সকালে কীটনাশক খেয়ে নেয় মেয়ে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় তাকে।
কুলতলি থানার চুপরিঝাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম বাণীরধল গ্রামের ঘটনা। পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে, ধর্ষণের জেরেই অপমানে আত্মহত্যা করেছে সে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েটি পড়াশোনায় ভাল ছিল। শুক্রবার সকালে স্কুলে যায় সে। বিকেল হওয়ার পরেও মেয়ে বাড়ি ফেরেনি দেখে খোঁজখুঁজি শুরু করেন বাড়ির লোক। এরপর রাতে তিনটি ছেলে মিলে মেয়েটিকে বাড়ির কাছেই তার দাদুর বাড়ির সামনে রেখে পালাচ্ছিল। স্থানীয়রা ধাওয়া করে একজনকে ধরে ফেলেন। বাকিরা পালায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মইউদ্দিন মোল্লা নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকেই স্থানীয় লোকজন ধরেছিল। তার নামে ধর্ষণের মামলা রজু করা হয়েছে। মেয়েটির দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অন্য দুই অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।
অভিযুক্ত তিনজনের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন ওই ছাত্রীর মা। তিনি বলেন, ‘‘শুক্রবার রাতে মেয়ে ফিরে জানায় তিনজন মিলে ওকে ধর্ষণ করেছে। রাতে ওর অবস্থা দেখে আমি আর কিছু বলিনি। ভেবেছিলাম সকালবেলায় কথা বলব। ভোরে উঠে মাঠে আনাজ কাটতে গিয়েছিলাম। ফিরে এসে দেখি এই অবস্থা। যারা এই কাজ করল তাদের যেন ফাঁসি হয়।’’
মেয়েটির এক আত্মীয় বলেন, ‘‘রাতে দেখেই বুঝতে পারি ওর সঙ্গে কী হয়েছে। ওকে বোঝানোরও চেষ্টা করি। তখন ভাবিনি সকালে এই কাণ্ড ঘটাবে। অপরাধীদের যেন কঠোর শাস্তি হয়।’’