গৃহকর্ত্রীকে মারধর করে ডাকাতি দেগঙ্গায়

পুলিশ জানায়, নমিতা মুখোপাধ্যায় নামে ওই ব্যবসায়ীর দোতলা বাড়িটির চারটি ঘরে লুটপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। আলমারি ভেঙে কয়েক ভরি সোনার গয়না, নগদ কয়েক হাজার টাকা ও ব্যাঙ্কের কাগজপত্র নিয়ে চম্পট দেয় ডাকাতদের দলটি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৯ ০২:১৪
Share:

তোলপাড়: ডাকাতির পরে ঘরের অবস্থা। নিজস্ব চিত্র

গৃহকর্ত্রীকে বেঁধে, মারধর করে বাড়িতে লুটপাট চালাল একদল সশস্ত্র ডাকাত। বৃহস্পতিবার রাতে দেগঙ্গা থানার হাদিপুর-নাথপাড়া এলাকার ওই বাড়িতে গ্রিল কেটে, ঘরের দরজা ভেঙে ঢোকে ডাকাতেরা। ঘটনাটি ঘটে এক মহিলা ব্যবসায়ীর বাড়িতে। ডাকাতদের হাতে তিনি ও তাঁর মেয়ে নিগৃহীত হন। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। শুধু তাই নয়, ওই বাড়িতে ঢোকার আগে রাস্তায় বিদ্যুতের আলোও ডাকাতেরা বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

শুধু লুটপাটই নয়, ভয়ে চিৎকার করায় ঘুসি মেরে নমিতাদেবীর মেয়ের মুখ ফাটিয়ে দেয় ডাকাতেরা। পালানোর সময়ে তাঁকে বেঁধেও রেখে যায়। খবর পেয়ে ওই বাড়িটিতে গিয়ে উঠোন থেকে একটি ধারালো অস্ত্রও উদ্ধার করে পুলিশ। দেগঙ্গা থানার আইসি সুমিত মণ্ডল জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে ওই ঘটনা কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুলিশের কাছে অভিযোগে নমিতাদেবী জানান, তিনি ও তাঁর মেয়ে ঘরে ছিলেন। রাত একটা নাগাদ প্রথমে দরজা ভেঙে পাঁচ-ছ’ জন যুবক ঘরে ঢোকে। তাদের মুখ গামছা দিয়ে ঢাকা আর হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। শুক্রবার নমিতাদেবী বলেন, ‘‘মারতে মারতে ওরা আমার হাত, মুখ বেঁধে ফেলে। ঘরে ঢুকে একের পর এক আলমারি ভেঙে সব নিয়ে যায়।’’

Advertisement

শব্দ শুনে দোতলা থেকে নেমে আসেন নমিতাদেবীর মেয়ে মিঠু। তিনি বলেন, ‘‘হঠাৎ ঘরের মধ্যে ডাকাতদের দেখে আমি ভয়ে চিৎকার করে ফেলি। ওরা আমার মুখে ঘুসি মারে। আমার মাথা ঘুরে যায়। আমাকে বেঁধে রেখে সোনা-দানা, টাকা হাতিয়ে নেয়। ডাকাতির কথা পুলিশকে জানালে খুন করা হবে বলে হুমকিও দেয়।’’

স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, ওই এলাকায় প্রকাশ্যে মদ, গাঁজা বিক্রি হয়। রাত হলেই বাইরের লোকজনের আনাগোনা শুরু হয়ে যায়। ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারেন না। ওই এলাকার এক বাসিন্দা জানান, শেষ রাতের দিকে হঠাৎই বিদ্যুতের খুঁটি থেকে আলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঘর থেকে তিনি চিৎকার করে বলেন, ‘আলো বন্ধ করছে কে?’ গালাগাল দিতে দিতে পাল্টা দুষ্কৃতীরা জবাবে বলে, ‘পরের রাতে তোদের বাড়িতে আসছি। তখন বুঝবি কে আমরা!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement