উদ্ধার: সেই সোনা। নিজস্ব চিত্র।
বহু টাকার সোনা উদ্ধার করল পেট্রাপোল শুল্ক দফতর। দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, তিনদিন ধরে অভিযান চালিয়ে ৫ ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে প্রায় ১ কেজি ৪০০ গ্রাম সোনা উদ্ধার হয়েছে। যার মূল্য প্রায় ৬৯ লক্ষ টাকা। এই সোনা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে সোনা পাচার নতুন নয়। এ বার পাচারের নতুন পদ্ধতি সামনে এসেছে। পেট্রাপোল শুল্ক দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার গিরিধর ষড়ঙ্গী জানিয়েছেন, মোবাইলের ভিতরে করে সোনা পাচারের চেষ্টা হচ্ছে। সোনার পাতলা পাত ব্যাটারির নীচে রেখে আনা হচ্ছিল। সোনার গয়নার উপরে রুপো, তামার রং করেও আনা হচ্ছিল। এক নজরে দেখলে যা সোনা বলে মনে হয় না। শুল্ক দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পাচারকারীরা এখন সোনার বিস্কুট বা সোনার বাটের পরিবর্তে নতুন নতুন পদ্ধতিতে পাচারের চেষ্টা করছে। ক্যাপসুলের মধ্যেও সোনা আনার ঘটনা এর আগে সামনে এসেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অতীতে বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে পাচারকারীরা পায়ুপথে রেখেও সোনা পাচার করত। কখনও অন্তর্বাসের মধ্যে রাখা হত সোনা। সাইকেলের টায়ারের মধ্যে রেখে সোনা পাচারের ঘটনা দেখা গিয়েছে। হাঁটু থেকে গোড়ালি পর্যন্ত সেলোটেপ দিয়ে সোনার বিস্কুট বেঁধে পাচারের চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু মোবাইলের ভিতরে বা সোনার গয়না রং করে পাচারের চেষ্টা এই প্রথম নজরে এল। সূত্রের খবর, দুবাই থেকে ঢাকা হয়ে সীমান্ত পেরিয়ে সোনা অবৈধ ভাবে পাঠানো হয় কলকাতায়। পেট্রাপোল ও স্বরূপনগর সীমান্ত দিয়ে সোনা ও রুপো পাচার সম্প্রতি বেড়েছে। ধরপাকড়ও হচ্ছে। অতীতে বাংলাদেশের ক্লিয়ারিং ও ফরওয়ার্ডিং এজেন্টরা সোনার বিস্কুট নিয়ে ধরা পড়েছে। শুল্ক দফতরের সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩ অক্টোবর মহারাষ্ট্রের এক বাসিন্দা বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার সময়ে তাকে আটক করা হয়। তল্লাশি চালিয়ে অন্তর্বাস থেকে একটি ক্যাপসুল মেলে। সেটি ভাঙতেই বেরিয়ে আসে ৩৬৯ গ্রাম সোনা। শুক্রবার তিন ব্যক্তি সোনার গয়নায় রুপো, তামা-সহ বিভিন্ন ধাতুর রঙের প্রলেপ লাগিয়ে সেগুলি পেট্রাপোল বন্দরে এনেছিল। গয়না হাতে পরেছিল। আধিকারিকেরা তাদের আটক করেন। উদ্ধার হয় প্রায় ৬৭৫ গ্রাম সোনা। শনিবার সকালে বাংলাদেশ থেকে আসা এক ভারতীয় যাত্রীকে আটক করে তার মোবাইল ফোনের ভিতর থেকে ৩৫০ গ্রাম সোনা মেলে। ওই ব্যক্তি মোবাইলের ব্যাটারির নীচে সোনার পাত লুকিয়ে রেখেছিল। অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার বলেন, ‘‘পেট্রাপোল বন্দর এলাকা দিয়ে পাচার রুখতে ধারাবাহিক তল্লাশি অভিযান চলবে।’’