রবীন মুখোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
সাতের দশকে প্রমোদ দাশগুপ্ত বলেছিলেন, ‘‘রবীন, এ বার প্রার্থী হও লোকসভায়।’’ হালিশহরের রবীন মুখোপাধ্যায় তখন সিপিএমের নদিয়া জেলা কমিটির সদস্য। প্রার্থী হওয়ার কথা শুনে চমকে উঠেছিলেন। বামফ্রন্টকে শক্তিশালী করতে ঠিক করলেন, দলের কাজ করবেন ঠিকই, কিন্তু প্রার্থী হবেন না। শেষ মুহূর্তে বহরমপুর কলেজের শিক্ষক রেণুপদ দাস প্রার্থী হলেন। তখনও সংগঠনটাই পাখির চোখ ছিল, এখনও। সিপিএমের মরা গাঙে জোয়ার আনতে বীজপুরের বাম প্রার্থী এ বার সেই রবীনবাবু। নিজে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। যদিও রাজনীতির জন্য নিবেদিত প্রাণ হওয়ায় চিকিৎসায় মন দেওয়া হয়নি কখনও। তবে হোমিওপ্যাথি কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০১০ সালে হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যানও হয়েছিলেন। সাড়ে তিন বছরের মাথায় বোর্ড দখল করে নিয়েছিল তৃণমূল। সিপিএম কাউন্সিলররা ঘরছাড়া হলেও রবীনবাবু অটল ছিলেন। তাই মুকুল রায়ের খাস তালুকে বামফ্রন্টের পছন্দ পোড় খাওয়া এই কমরেডকে। রবীনবাবু বলেন, ‘‘ভোটের রাজনীতির থেকেও দল গড়াটা বেশি দরকার একদা বাম দুর্গ বীজপুরে। তৃণমূলের অন্তর্কলহ, বিজেপির সংগঠনহীনতা, কংগ্রেসের লুপ্তপ্রায় চেহারা— এ সবের মাঝে বামফ্রন্টকে এখনও দাঁড় করানো সম্ভব, শুধু কয়েকজন উদ্যমী ছেলেমেয়েকে পেলে। যারা ভয়ে মাথা নত করবে না।’’