Saifuddin Laskar murder

আনিসুরকে চিনিই না, দাবি সিপিএম নেতাদের

বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার অন্তর্গত বামনগাছি পঞ্চায়েত। ওই কেন্দ্রে গত বিধানসভা ভোটে সিপিএমের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন স্বপন নস্কর।

Advertisement

সমীরণ দাস 

জয়নগর শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:৫১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

জয়নগরের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন খুনে অভিযোগের আঙুল উঠছে আনিসুর লস্করের দিকে।

Advertisement

কে এই আনিসুর?

স্থানীয় সূত্রের খবর, আনিসুর এলাকায় সিপিএম নেতা হিসেবে পরিচিত। তবে সিপিএমের দাবি, দলের কোনও পদে নেই তিনি। ভোটের রাজনীতিতেও কখনও নামেননি। সাধারণ কর্মী হিসেবেই দলের কাজ করেন। বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার অন্তর্গত বামনগাছি পঞ্চায়েত। ওই কেন্দ্রে গত বিধানসভা ভোটে সিপিএমের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন স্বপন নস্কর। তিনি বলেন, ‘‘এলাকার কয়েক জন নেতা-কর্মীকে চিনলেও আনিসুরের সঙ্গে পরিচয় নেই।’’ পাশের জয়নগর বিধানসভা থেকে বিধানসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা অপূর্ব প্রামাণিকও জানান, আনিসুরের সঙ্গে পরিচয় নেই। দীর্ঘ দিন ওই এলাকা থেকে জেলা পরিষদের সদস্য থাকা এক নেতাও মনে করতে পারলেন না আনিসুরকে।

Advertisement

তা হলে কেমন নেতা আনিসুর?

তৃণমূলের একাংশের অবশ্য দাবি, আনিসুর সিপিএমের ক্যাডার। এক সময়ে সিপিএমের এক বড় নেতার ছত্রচ্ছায়ায় থেকে একাধিক দুষ্কর্ম করেছেন বলেও তাদের দাবি। জেলার বিভিন্ন এলাকায় খুনখারাপি, তোলাবাজিতে আনিসুর জড়িত বলে শাসক দলের একাংশের অভিযোগ। বহু বছর আগে কোনও ‘অপারেশনে’ গিয়ে আনিসুর গুলি খান বলেও তাঁদের দাবি। পেটে গুলির দাগ রয়েছে বলে জানান তৃণমূলের এক পুরনো নেতা।

২০১৮ সালের আগে পর্যন্ত বামনগাছি পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় ছিল সিপিএম। পরে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। তৃণমূলের স্থানীয় এক নেতা জানান, গত পঞ্চায়েতে বামনগাছি এবং পাশের চালতাবেড়িয়া পঞ্চায়েত দখলে আনিসুরকে কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন সেই বড় নেতা। কিন্তু দু’টি পঞ্চায়েতে একটি আসনও মেলেনি সিপিএমের। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বুথ দখল করে জেতার অভিযোগ ওঠে। সেই থেকেই সইফুদ্দিনের সঙ্গে আনিসুরের তিক্ততা বাড়ে বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের।

সেই তিক্ততার জেরেই কি অঘটন?

তৃণমূলের কেউ কেউ দাবি করছেন, এমনও হতে পারে, আনিসুরকে কাজে লাগিয়ে খুন করিয়েছেন অন্য কেউ। বারুইপুর পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক বিভাস সর্দারের কথায়, “আনিসুরকে দিয়ে খুন করানো হয়েছে। করিয়েছেন সিপিএমের বড় নেতারা।” তিনি আরও বলেন, “আনিসুরের বিরুদ্ধে আমরা আগেই থানায় জানিয়েছিলাম। কিন্তু সিপিএমের কিছু নেতার দৌলতে হাই কোর্ট থেকে রক্ষকবচ নিয়ে রেখেছিল আনিসুর। ফলে পুলিশ ওকে গ্রেফতার করতে পারেনি।”

সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীও দাবি করেছেন, আনিসুরের সঙ্গে তাঁর পরিচয় নেই। আনিসুর সিপিএম দলের সদস্যও নন। তবে তিনি দলের কর্মী। সুজনের কথায়, ‘‘ওঁকে তো টাকার বিনিময়ে দলে টানতে চেয়েছিল তৃণমূল। তা হলে এখন হঠাৎ তিনি দুষ্কৃতী হয়ে গেলেন কী ভাবে?’’ যদিও দলে টানা নিয়ে সুজন যা বলেছেন, তা তৃণমূল অস্বীকার করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement