বারাসত শ্মশান। নিজস্ব চিত্র।
সরকারি বিধি অমান্য করে কোভিডে মৃত রোগীর দেহে পেসমেকার বসানো অবস্থায় ইলেকট্রিক চুল্লিতে সৎকার করা হচ্ছিল বারাসাত শ্মশানের ইলেকট্রিক চুল্লিতে। অভিযোগ, তারই জেরে গত বুধবার রাতে পেসমেকার ফেটে বিকল হয়ে যায় চুল্লি। ফলে গত তিনদিন ধরে বারাসাত কালীপাড়া শ্মশানের ইলেকট্রিক চুল্লি বন্ধ হয়ে আছে। আর সে কারণে বারাসাত শ্মশানে আসা মৃতদেহ ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে। সমস্যায় পড়ছে পরিবার।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বারাসাত শ্মশান বন্ধ থাকার কারণে দেহ নিয়ে যেতে হচ্ছে অন্য শ্মশানে। বারাসত পুরসভা সূত্রের খবর, মৃতের শরীরে পেসমেকার থাকার খবর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ না জানানোর কারণেই এই বিপত্তি ঘটেছে। পুরসভার মুখ্য পুর প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁরা দ্রুত চুল্লি মেরামত করে দেহ সৎকারের উপযোগী করে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘‘দিনভর নন-কোভিড মৃতদেহ দাহের পর একঘণ্টা চুল্লিকে বিশ্রাম দিয়ে রাত থেকে শুরু করে সকাল ৮টা পর্যন্ত কোভিডে মৃতদের দেহ সৎকার করা হয়। ফলে তাড়া থাকে। একবার পেসমেকার ফেটে চুল্লি বিকল হলে দু’দিনের আগে কাজই শুরু করা যায় না। কারণ, চুল্লিকে সাধারণ তাপমাত্রায় আনতেই দু’দিন সময় লেগে যায়।’’