প্রতীকী ছবি।
আনলক পর্বের পথে আরও একধাপ এগোচ্ছে দিল্লি। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল শনিবার জানিয়েছেন, জোড় এবং বিজোড় তারিখ ধরে বাজার এবং মলের দোকানগুলি খুলবে সেখানে। অর্থাৎ বাজার ও শপিং মলগুলির অর্ধেক দোকান মাসের জোড় তারিখে এবং বাকি অর্ধেক বিজোড় তারিখে খুলবে।
পাশাপাশি, জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে ৫০ শতাংশ মেট্রো চলাচল শুরু করার কথাও ঘোষণা করেছেন কেজরীবাল। দিল্লির অত্যাবশীয় পণ্যের দোকানগুলি অবশ্য সপ্তাহে প্রতি দিনই খোলা থাকবে বলে জানান তিনি। প্রসঙ্গত, বছর ছ’য়েক আগে দিল্লির বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ করতেও জোড়-বিজোড় তত্ত্ব প্রয়োগ করেছিলেন কেজরীবাল। গাড়ির নম্বর প্লেটের অঙ্কটি জোড় না বিজোড়, সেই ভিত্তিতে তারিখ ধরে রাস্তায় গাড়ি চালানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছিল সে সময়।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে ১৯ এপ্রিল লকডাউন জারি করে দিল্লি সরকার। তখন থেকেই সেখানে বন্ধ ছিল শপিং মল এবং মেট্রো। মুখ্যমন্ত্রী শনিবার সেই বিধিনিষেধ শিথিল করা কথা জানিয়ে বলেন, ‘’৫০ শতাংশ হাজিরার ভিত্তিতে সমস্ত সরকারি দফতর খুলবে। ৫০ শতাংশ হাজিরার ভিত্তিতে বেসরকারি অফিসগুলিও খোলা যেতে পারে। তবে আমরা বলব, এখনও বেসরকারি ক্ষেত্রের ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর অনুশীলন থেকে সরে আসা উচিত নয়।’’
দিল্লির কোভিড পরিস্থিতি গত দু’সপ্তাহে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কেজরীবাল বলেন, ‘‘পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বিধিনিষেধে আরও কিছু ছাড় দেওয়া হবে।’’ সেই সঙ্গে তাঁর ঘোষণা, ‘‘এখন আমরা করোনাভাইরাস সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ মোবাবিলার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি।’’ সেই পরিকল্পনার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ৬৪টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি, ভাইরাসের প্রজাতি দ্রুত চিহ্নিত করার লক্ষ্যে দু’টি ‘জিনোম ট্র্যাকিং ব্যবস্থা’ স্থাপনের কথাও জানান।