ঝুঁকি: ভিড়ে রাশ টানা যাচ্ছে না। হাবড়ায় ছবিটি তুলেছেন সুজিত দুয়ারি
ভিড় ঠেকাতে জায়গায় জায়গায় জনতার সঙ্গে ঝামেলা বাড়ছে পুলিশের। পুলিশ কর্তারা বলছেন, “সংক্রমণ যাতে না ছড়ায়, তার দায় যেন পুরোটাই আমাদের। মানুষ কেন যে অযথা পথেঘাটে বেরোচ্ছেন, বোঝা যাচ্ছে না।” তবে স্পর্শকাতর কিছু এলাকা পুলিশ সিল করায় সে সব জায়গায় কিছুটা সচেতনতা বেড়েছে। তবে সকালের বাজারের ভিড়ে লাগাম টানা যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবারও সকাল থেকে পুলিশকে ব্যস্ত থাকতে হল রাস্তায় নামা জনতার মাস্ক আছে কিনা তা যাচাই করতে।
এ দিন সকালে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের কাঁকিনাড়ায় বেশ কয়েকজন ব্যক্তি এক সঙ্গে দল পাকিয়ে বাজারে যাচ্ছিলেন। কারও মুখে মাস্ক ছিল না। পুলিশ তাঁদের ফিরিয়ে দেয়। সে সময়ে তাঁরা পাল্টা পুলিশকে প্রশ্ন করেন, গাড়ির মধ্যে বসে থাকা অনেক পুলিশ কর্মীর মুখে সব সময়ে মাস্ক থাকছে না কেন!
লকডাউন না মানায় সন্দেশখালি থানার খুলনা খেয়াঘাট চত্বর থেকে বুধবার রাতে সাত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই সাত যুবক ইঞ্জিন ভ্যান ভাড়া করে হাসনাবাদ থানার বাইলানি চত্বর থেকে প্রায় কুড়ি কিলোমিটার দূরের খুলনায় ঘুরতে বেরিয়েছিলেন।
বসিরহাট, বাদুড়িয়ার কাটিয়াহাট, স্বরূপনগরের তেঁতুলিয়া, হাসনাবাদের ভেবিয়া চৌমাথা, মিনাখাঁর মালঞ্চ বাজারে সামাজিক দুরত্বের কোনও বালাই থাকছে না বাজার করতে আসা জনতার মধ্যে। বিভিন্ন ব্যাঙ্কের শাখার সামনেও লম্বা লাইনে গা ঘেঁষাঘেঁষি করা লাইনে দাঁড়াতে এ দিনও দেখা গিয়েছে। সচেতন বাসিন্দাদের একাংশের দাবি পুলিশ কঠোর হাতেই মোকাবিলা করুক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে হটস্পট জেলার তালিকায় রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এরপরে বসিরহাটের বিভিন্ন এলাকায় কিছুটা সচেতনতা ফিরেছে। বিভিন্ন পাড়া এবং গ্রামের ঢোকার রাস্তা বাঁশ দিয়ে আটকে দিচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা।
করোনা-সতর্কতায় জয়নগরের একটি নার্সিংহোমে রোগী ভর্তি বন্ধ করেছে প্রশাসন। সেখানে এক করোনা রোগী ভর্তি ছিলেন। ওই নার্সিংহোমের চিকিৎসক-চিকিৎসাকর্মীদের কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছে। বুধবার এই ঘটনার কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই লকডাউন উপেক্ষা করে এলাকায় ভিড় অনেকটা কমে যায়। বৃহস্পতিবার বাজারগুলি অন্য দিনের তুলনায় অনেক ফাঁকা ছিল। রাস্তাঘাটেও বেশি মানুষজন চোখে পড়েনি।
তবে ক্যানিংয়ের বাজারগুলিতে ভিড় কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। গত দু’দিন পুলিশ কড়া মনোভাব দেখালেও বৃহস্পতিবার সে ভাবে পুলিশকে রাস্তায় দেখা যায়নি। ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের লাইন সামলাতেই বেশি ব্যস্ত থাকতে দেখা গেল পুলিশকে।