সলজ্জ: দোকানে ফ্লেক্সে লেখা, মাস্ক ছাড়া কেনাবেচা চলবে না। দোকানিই পরেননি মাস্ক। প্রশ্ন শুনে অপ্রস্তুত হয়ে হেসে ফেললেন নিজেই। গোবরডাঙায় ছবিটি তুলেছেন সুজিত দুয়ারি
পুরএলাকায় ক্রমশ বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণে রাশ টানতে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিল গোবরডাঙা পুরসভা। এলাকার ব্যবসায়ী সংগঠন ও বাজার কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুরকর্তৃপক্ষ।
পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিক নারায়ণচন্দ্র কর জানান, পুরএলাকায় এ বছর জানুয়ারি মাসে বুধবার পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১০৯ জন। এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৬৮ জন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪ জন। মারা গিয়েছেন ২ জন। পুরপ্রশাসক তুষারকান্তি ঘোষ বলেন, ‘‘করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবার গোবরডাঙা পুরএলাকার বাজার-দোকানপাট সব বন্ধ রাখা হবে। ওষুধ-দুধ সহ জরুরি পরিষেবা শুধু চালু থাকবে। এই নিয়ম ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ বাজার বন্ধের দিনগুলিতে বাজার এলাকা জীবাণুমুক্ত করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, সপ্তাহে দু’দিন বাজার বন্ধের পাশাপাশি বাজার এলাকায় পুরসভার পক্ষ থেকে ফ্লেক্স লাগানো হয়েছে। সেখানে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, মাস্ক ছাড়া মালপত্র ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না। এটা দণ্ডনীয় অপরাধ। পুরপ্রশাসক বলেন, ‘‘করোনার টিকাকরণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। গোবরডাঙায় দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়ার কাজ ৯৬ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। ১৫-১৮ বয়সীদের স্কুলে টিকাকরণের কাজ শেষ হয়েছে।’’ পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য গোবরডাঙার কোভিড হাসপাতাল আছে। এ ছাড়া, অক্সিজেন পার্লার ও সেফ হোম তৈরি রাখা হয়েছে। মানুষকে করোনা বিধি সম্পর্কে সচেতন করতে পুরসভার পক্ষ থেকে প্রচার চালানো হচ্ছে। গোবরডাঙার থানার পক্ষ থেকে মাস্ক না পরা মানুষদের ধরপাকড় করা হচ্ছে। মাস্ক না পরে বেরোনোয় মঙ্গলবার পুলিশ ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।
এত কিছুর পরেও অবশ্য কিছু মানুষের হেলদোল নেই। মাস্ক না পরে বাইরে বেরোচ্ছেন তাঁরা। এক মহিলা মাস্ক না পরে বাজারে বেরিয়েছিলেন। তিনি জানালেন, মাস্ক পরলে শ্বাসকষ্ট হয়। চিকিৎসক তাই মাস্ক পরতে নিষেধ করেছেন।