প্রতীকী ছবি
প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে চিকিৎসা চলার পরে মৃত্যু হল করোনা আক্রান্ত নার্সের।
ক্যানিংয়ের বাসিন্দা বছর একষট্টির ওই নার্সের লালারসের নমুনা পরীক্ষার পরে রিপোর্ট আসে ১৪ জুন। তাঁকে বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় একটি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। শনিবার সেখানেই মৃত্যু হয় ওই মহিলার।
বারুইপুর মহকুমার অন্তর্গত ভাঙড় ১ ব্লকের নলমুড়ি হাসপাতালের পাবলিক হেলথ নার্স বা পিএইচএন পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। অবসরের সময় হয়ে গেলেও দু’বছর অতিরিক্ত সময়ের জন্য কর্মরত ছিলেন। প্রাথমিক অনুমান, কর্মক্ষেত্র থেকেই করোনায় সংক্রমিত হন। ক্যানিংয়ের বাড়িতে বেশ কিছু দিন অসুস্থ ছিলেন। তারপরেই লালারস পরীক্ষা করা হয়। ক্যানিং ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে চিকিৎসার জন্য এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
ভাঙড় ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শাজাহান মোল্লা বলেন, ‘‘করোনা আক্রান্ত হয়ে এক নার্সের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তিনি কাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’ ক্যানিং ১ ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে তাঁর পরিবারের পাঁচ সদস্যকে ক্যানিং মহকুমার কোভিড হাসপাতালে রাখা হয়। সেখানে তাঁদেরও লালারস পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু পরিবারের বাকিদের শরীরে ভাইরাস না মেলায় সকলকে এক সপ্তাহ পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। বারুইপুর মহকুমার অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃদুল ঘোষ বলেন, “উনি আমাদের সহকর্মী ছিলেন। বেশ কিছু দিন অসুস্থ অবস্থায় এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানেই মৃত্যু হয়। আমরা শোকাহত।’’
অন্য দিকে, বিদেশ থেকে আসা এক পরিযায়ী শ্রমিক এ বার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। বনগাঁর বিএমওএইচ মৃগাঙ্ক সাহা রায় বলেন, ‘‘রবিবার ওই পরিযায়ী শ্রমিকের লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট পেয়েছি। তিনি করোনা পজ়িটিভ। তাঁকে নিউটাউনে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’’ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক দুবাইয়ে কাজ করতেন। সম্প্রতি বাড়ি ফিরেছিলেন। অন্য দিকে, শনিবার তিন বিএসএফ জওয়ান করোনা পজ়িটিভ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মৃগাঙ্ক।