স্বরূপনগরে ফিভার ক্লিনিক। নিজস্ব চিত্র
ফিভার ক্লিনিক শুরু হল স্বরূপনগর ব্লকের শাঁড়াপুল গ্রামীণ হাসপাতালে। জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের সেখানে চিকিৎসকেরা দেখবেন। লালারসের নমুনা সংগ্রহও হচ্ছে এখানে।
স্বরূপনগরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দেড়শো। আশাকর্মী, বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী-সহ এলাকার বেশ কয়েকজন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় রীতিমতো চিন্তিত প্রশাসন। সোমবার এক দিনে ১২ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।
বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার আধিকারিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘স্বরূপনগর ব্লকে এখনও পর্যন্ত ১৪৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে বেশ কয়েকজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।’’
তবে মানুষের মধ্যে সচেতনতা এখনও পুরোপুরি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। কিছু মানুষ মাস্ক না পরেই ঘুরছেন। শারীরিক দূরত্বও বজায় নেই অনেক জায়গায়। ব্লক প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের দাবি, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ইতিমধ্যে প্রশাসন থেকে কয়েকটি বাজার বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। তাতে এলাকার রাজনৈতিক দলগুলিও সমর্থন জানিয়েছিল। কিন্তু পরে সেগুলি খুলে দেওয়া হয়। বাড়তে থাকে এলাকায় করোনা পজ়িটিভের সংখ্যা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, নিভৃতবাসেরও প্রয়োজন আছে এলাকায়। আইসোলেশন সেন্টার জরুরি। স্থানীয় বাসিন্দা তথা পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ রমেন সর্দার বলেন, ‘‘করোনার প্রভাব বেশি করে লক্ষ্য করা যাচ্ছে শাঁড়াপুল, নলাবরা, বাঁকড়া এলাকায়।’’
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)