অভিনব: মাস্ক পরে থাকা নাগরিকদের হাতে গোলাপ ফুল তুলে দিচ্ছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
বছরের শুরুর দিকে করোনা সংক্রমণের হার ছিল নিম্নমুখী। কিন্তু বর্তমানে প্রতিদিনই উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে সংক্রমণ। এ বার পরিস্থিতি সামাল দিতে পথে নামল প্রশাসন।
ভাঙড়ের কাশীপুর থানার উদ্যোগে এলাকায় মাইকে প্রচারের পাশাপাশি মানুষকে মাস্ক পরতে বাধ্য করা হচ্ছে। কাশীপুর থানার ওসি সমরেশ ঘোষ এ দিন মানুষকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি পোলেরহাট, শোনপুর, বিজয়গঞ্জ বাজারে মাইকে সচেতনতার প্রচার চালান। যাঁরা নিয়ম মেনে মাস্ক পরছেন, তাঁদের উৎসাহ দিতে হাতে গোলাপ ফুল তুলে দেওয়া হয়।
ইতিমধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় করোনা সংক্রমণের হার দেড় হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। সংক্রমণের ঢেউ এসে পড়েছে ভাঙড়, জীবনতলা-সহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায়। ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাঙড় ১ ব্লক এলাকায় এই মুহূর্তে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৪। এঁদের মধ্যে একজন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি ২৩ জন বাড়িতে নিভৃতবাসে রয়েছেন। ভাঙড় ২ ব্লক এলাকায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১১। এঁদের মধ্যে চারজন কলকাতার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি ৭ জন বাড়িতে নিভৃতবাসে রয়েছেন। ক্যানিং ২ ব্লক এলাকায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭। এঁদের মধ্যে ১ জন নার্স কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি ৬ জন বাড়িতে নিভৃতবাসে রয়েছেন।
ভোটের প্রচার, সভা, মিছিল এবং চৈত্র সেলের বাজারে অসচেতন মানুষের উপচে পড়া ভিড় এই পরিস্থিতির অন্যতম কারণ বলে মনে করছে স্বাস্থ্যকর্তারা। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের দুই আধিকারিকও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু মানুষের মধ্যে সচেতনতার বালাই নেই বললেই চলে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় কেউ কোভিড-বিধি মানছেন না।
জেলাশাসক অন্তরা আচার্য জানান, প্রশাসনিক স্তরে ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে। জেলার সমস্ত সেফহোমগুলি ফের খোলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেফহোমে অক্সিজেনের ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া, টেলি-মেডিসিনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাঁরা বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করাতে চান, তাঁরা এই সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি, পুলিশ-প্রশাসনের সহযোগিতায় বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে।