tmc

তৃণমূলের সভায় ভাঙল বিধি

অনেকের মুখে মাস্ক থাকলেও শারীরিক দূরত্ববিধি কোথাও বজায় ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছে। বনগাঁ ব্লকের করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:৫৩
Share:

বিধি-উড়িয়ে: আদিবাসী নাচের সঙ্গে পা মেলালেন প্রাক্তন সাংসদ। ঘুচল দূরত্ববিধি। বৃহস্পতিবার ছবিটি তুলেছেন নির্মাল্য প্রামাণিক

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই শারীরিক দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে সভা করল তৃণমূল। প্রচুর ভিড় হয়েছিল সেখানে।
বৃহস্পতিবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে দু'টি বড় সভা করা হয় বনগাঁ ব্লকের রামচন্দ্রপুর এবং পাইকপাড়া এলাকায়। দু’জায়গাতেই বিজেপি এবং সিপিএম ছে়ডে অনেকে তাঁদের দলে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি শাসক শিবিরের। কয়েক হাজার মানুষের জমায়েত হয় দু’জায়গাতেই। রামচন্দ্রপুরের সভায় উপস্থিত ছিলেন বনগাঁর প্রাক্তন সাংসদ মমতা ঠাকুর এবং প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ।
অনেকের মুখে মাস্ক থাকলেও শারীরিক দূরত্ববিধি কোথাও বজায় ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছে। বনগাঁ ব্লকের করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ব্লকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮৬ জন। অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৮৩ জন। মারা গিয়েছেন ৫ জন। এই পরিস্থিতিতে বিপুল জনসমাগম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সচেতন মানুষের প্রশ্ন, সরকারের পক্ষ থেকে প্রচার করা হচ্ছে সভায় একশো জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। অথচ শাসক দল এমন কর্মসূচি নিচ্ছে। বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক। সিপিএম নেতা ও বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, ‘‘প্রশাসন নিরপেক্ষতা হারালে ফল যা হওয়ার তাই হচ্ছে।’’ সিপিএমের কেউ তৃণমূলে যোগ দেননি বলেও তাঁর দাবি। তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা তৃণমূলে যোগদান করেননি দাবি করে বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বনগাঁ-সহ গোটা রাজ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কারণ তৃণমূলের রাজনৈতিক কার্যক্রম। আমরা কোনও কর্মসূচি পালন করলে বলা হচ্ছে লকডাউন ভাঙা হয়েছে। দূরত্ববিধি মানা হচ্ছে না। অথচ তৃণমূল তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে চলেছে।’’ বনগাঁর প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ অবশ্য বলেন, ‘‘বিজেপির মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এসেছিলেন মানুষ। দূরত্ববিধি বজায় রাখা হয়েছিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement