মনুয়া মজুমদার। —ফাইল চিত্র।
সংশোধনাগারে থেকে তাঁর বিবিধ প্রতিভার স্ফূরণ ঘটেছে। সংশোধনাগারে নাকি তাঁর আচরণও ভাল। ২০০৭ সালে স্বামীকে খুন করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া সেই মনুয়া মজুমদার প্যারোলে মুক্তি পেলেন। তবে মাত্র ছ’ঘণ্টার জন্য। সোমবার দুপুরে পরিবারের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পেলেন অনুপম সিংহ হত্যাকাণ্ডের আসামি মনুয়া।
দীর্ঘ দিন ধরে সংশোধনাগারে রয়েছেন। জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে আগেই। তবে এ বার প্যারোলে ছাড়া পেয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার বারসতের মনুয়া। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি নিয়ে সোমবার দুপুরে প্রথমে বারাসাত থানায় আসেন মনুয়া। থানা থেকে মনুয়াকে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর বাপের বাড়িতে। তবে পুলিশ ভ্যানে ওঠার সময় সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতি এবং তাঁদের হাতে ক্যামেরা দেখেই ওড়না দিয়ে মুখ ঢাকেন মানুয়া। নানা প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। কিন্তু একটিও জবাব দেননি তিনি। পুলিশের ঘেরাটোপে মনুয়াকে নিয়ে গাড়ি ছোটে তাঁর বাড়ির দিকে।
২০১৭ সালের ২ মে রাতে বারাসতের হৃদয়পুরে অনুপম হত্যাকাণ্ড সাড়া ফেলে দিয়েছিল সারা রাজ্যে। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে বারাসত আদালতের চতুর্থ ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক বৈষ্ণব সরকার মনুয়া এবং অজিতকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। চার্জশিটে পুলিশ জানিয়েছিল, মনুয়ার মানসিকতা যে দাগি অপরাধীর মতো, তার প্রমাণ মিলেছে।
২০২১ সাল থেকে তাঁর ঠিকানা বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার। সেখানেই মনুয়ার বহুমুখী প্রতিভার স্ফূরণ ঘটেছে। এক হাতে সামলেছেন সংশোধনাগার থেকে প্রকাশিত সাময়িকী। অন্য দিকে, ‘শ্যামা’ নৃত্যনাট্যে তাঁর নাচ মুগ্ধ করেছে বর্ধমানবাসীকে। জেল সুপার থেকে নাচের প্রশিক্ষক, সকলেই অবাক মনুয়ার ‘পারফরম্যান্স’ দেখে। প্রশাসনের একটি সূত্রের খবর, মনুয়া জেলখানায় ভাল আচরণ করছেন। সেই কারণে পরিবারের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।