—ফাইল চিত্র।
আমপানে ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতি-সহ নানা অভিযোগ তুলে সোমবার রাজ্যের নানা প্রান্তে বিডিও অফিসে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। সেই কর্মসূচি ঘিরে দলের অন্দরের কোন্দল ধরা পড়ল ক্যানিংয়ে।
এ দিন ক্যানিং ১ বিডিওর কাছে স্মারকলিপি জমা দেয় বিজেপির দু’টি গোষ্ঠী। একদিকে ছিলেন দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য প্রতিশ্রুতি দেবনাথ। অন্য দলকে নেতৃত্ব দেন জেলার সহ সভাপতি মামনি দাস, ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভার আহ্বায়ক স্বপন বৈদ্য।
মামনির নেতৃত্বে একদল বিজেপি কর্মী আগেই মাইক নিয়ে বিডিও অফিসে পৌঁছে যান। আর এক দল বিজেপি কর্মী প্রতিশ্রুতির নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল করে পৌঁছন বিডিও অফিসে। কার্যত দুই পক্ষ আলাদা আলাদা করে নিজেদের বক্তব্য রাখতে থাকেন বিডিও অফিসের সামনে। আলাদা স্লোগান চলতে থাকে। এরপরে একে একে দুই পক্ষই আলাদা ভাবে বিডিওর কাছে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন। বিডিও নীলাদ্রিশেখর দে জানিয়েছেন, বিজেপির তরফ থেকে এ দিন দু’বার দু’টি স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
কেন এমন ঘটল?
মামনি বলেন, ‘‘আমাদের সকলের উদ্দেশ্য, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজন যাতে ক্ষতিপূরণ পান। সে কারণেই আমরা সকলে স্মারকলিপি জমা দিতে এসেছি। তবে নিজেদের মধ্যে সামান্য ভুল বোঝাবুঝির জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। এটা আমরা নিজেরা বসেই সমাধান করে নেব।’’
প্রতিশ্রুতি বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে কোনও বিভেদ নেই। আমরা একই উদ্দেশ্যে এখানে এসেছি। সংবাদমাধ্যমের চোখে বিভেদ মনে হচ্ছে। এতে আমাদের কিছু করার নেই।’’
এ বিষয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি হরিকৃষ্ণ দত্ত বলেন, ‘একটা ছোট ভুল বোঝাবুঝির জন্য এটা হয়েছে। আমাদের মধ্যে কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই।’’ এ দিন একই কর্মসূচিতে বনগাঁয় এসেছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার, গাইঘাটায় এসেছিলেন রীতেশ তিওয়ারি, হাবড়ায় ছিলেন সায়ন্তন বসু। জয়প্রকাশ বলেন, “তৃণমূল চুরিটাকে নিজেদের অঙ্গ করে তুলেছে। আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত গরিব মানুষের টাকা চুরি করেছে তৃণমূল। কেন একটি এফআইআর হল না? কেন যাঁরা টাকা চুরি করল, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ করা হল না?’’ বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও আমপানের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ প্রসঙ্গে জয়প্রকাশ বলেন, ‘‘সকলের বিষয়েই তদন্ত হওয়া উচিত।’’
কাকদ্বীপে বিডিও অফিসে স্মারকলিপি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘এই রাজ্যের নারী নির্যাতন, বোমা কারখানা, পিস্তল তৈরির কারখানা, হিংসার মৃত্যুমিছিল চলছে। তা থেকে মানুষের মন ভোলাতে উত্তরপ্রদেশ নিয়ে লাফালাফি করছে।’’