চলছে পুলিশি টহল। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে তেতে উঠল বাসন্তীর শিমুলতলা হাসপাতাল মোড়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়, গাড়িতে ভাঙচুর চলে বলেও অভিযোগ। বুধবার সকালের এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বেশ কিছু দিন ধরে বাসন্তীর কাঁঠালবেড়িয়া পঞ্চায়েত দখল নিয়ে প্রধান বুলা নাসরিন লস্করের স্বামী তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা আমান লস্করের সঙ্গে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মন্টু গাজির ঘনিষ্ঠদের মধ্যে বিবাদ চলছে। পঞ্চায়েত দখল নিয়ে কয়েক দিন আগে বুলাকে সরাতে উঠে পড়ে লাগে মন্টু গাজির অনুগামীরা। এমনকী, বুলার বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে তাঁকে অপসারণও করা হয়।
নতুন প্রধান হয়েছিলেন সাবানা সর্দার। পরে হাইকোটের নির্দেশে আবার পদ ফিরে পান বুলা। অভিযোগ, এ নিয়ে ওই পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তথা আরএসপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মোজাম সর্দার পুনরায় পঞ্চায়েতে নিজের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করতে এলাকায় আমান গোষ্ঠীর লোকজনকে মারধর, অত্যাচার শুরু করেছে। মোজাম আবার মন্টুর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
এ দিন আমান গোষ্ঠীর লোকজন এর প্রতিবাদে রুখে দাঁড়ায় ও এলাকায় মিছিল করে। পাল্টা লোকজন নিয়ে আমানদের আঁটকাতে পথে নামে মোজাম, মন্টুরা। তখনই দু’পক্ষের মধ্যে বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ।
পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এলে তাদের লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। পুলিশের একটি গাড়িতে ভাঙচুর চলে বলেও অভিযোগ। ধাক্কাধাক্কি করা হয় পুলিশকর্মীদের।
মন্টু বলেন, ‘‘আমান সমাজবিরোধীদের জড়ো করে আমাদের লোকজনকে মারধর করেছে। দু’টি দোকান ভাঙচুর করেছে।’’ অভিযোগ উড়িয়ে আমান বলেন, ‘‘গত কয়েক দিন ধরে মোজামরা আমাদের লোকজনকে মারধর করছে। বাড়ি-ঘর লুঠ করেছে। এ সবের প্রতিবাদে আমরা মিছিল করেছিলাম। তখনই ওরা আক্রমণ চালায়।’’ হামলার অভিযোগ যথারীতি মানেননি মন্টু।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়েছিল, তবে গাড়ি ভাঙচুর হয়নি। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মতিয়ার রহমান সর্দার ও সাবির সর্দারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’