প্রতীকী ছবি।
বিজেপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার অভিযোগে এক সিভিক ভলান্টিয়ার সহ চারজনকে গ্রেফতার করল মিনাখাঁ থানার পুলিশ। ধৃতদের বৃহস্পতিবার বসিরহাটের এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের চোদ্দো দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার মিনাখাঁর ধুতুরদহ গ্রামে বিজেপির সংখ্যালঘু নেতা নুর ইসলাম গাজি-সহ তিন বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে। তদন্তে নামে পুলিশ। বুধবার রাতে বাবুরহাট থেকে মতিন শেখ নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়। একই এলাকা থেকে সুশীল পাইক ও পরিতোষ সরকার নামে দুই তৃণমূল সমর্থক এবং ন্যাজাট থানার বয়ারমারি এলাকা থেকে আব্বাসউদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অন্য একটি ঘটনায়, দলীয় পতাকা ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে হাতাহাতিতে জখম হয়েছেন বিজেপি ও তৃণমূলের দু’জন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধুতুরদহ গ্রামে কয়েক দিন আগে দলীয় পতাকা টাঙান বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। বৃহস্পতিবার সেই পতাকা ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বাধা দিতে গেলে বিজেপি নেতা নুর ইসলাম মোল্লা-সহ কয়েকজনের সঙ্গে অন্য পক্ষের হাতাহাতি বাধে। নুরকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের দাবি, তাদের একজনকেও মারধর করা হয়েছে। বিজেপি নেতা জয়ন্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার নেতৃত্বে মাঝে মধ্যেই বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপরে হামলা হচ্ছে।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল বলেন, ‘‘এ রকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি। তবে শুনেছি, বিজেপির কয়েকজন আমাদের একজনকে মারধর করেছে।’’