Bangladesh Unrest

বিপন্ন আমরা, স্বাভাবিক ছন্দে ফিরুক বাংলাদেশ

প্রবল ভাবে ভয় করছে, যে ভাবে একের পর এক মন্দিরে, বাড়িতে, দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে! ধর্মান্ধ কিছু উগ্রবাদী সংগঠনের লোক বাংলাদেশের রুচি, সংস্কৃতিকে ধুলোয় লুটিয়েছে।

Advertisement

সাথী দত্ত

সাতক্ষীরা (বাংলাদেশ) শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৪ ০৯:০৫
Share:

সাথী দত্ত। ছবি: নির্মল বসু Sourced by the ABP

বসিরহাটে এক আত্মীয়ের বাড়িতে অনুষ্ঠান উপলক্ষে এসেছিলাম, কিছুদিন আগে। আমার বাড়ি বাংলাদেশের সাতক্ষীরায়। ভারতের সঙ্গে আমার মতো বহু বাংলাদেশির আত্মিক সম্পর্ক। দায়ে-দরকারে, আনন্দ-উৎসবে এই দেশের সঙ্গে নাড়ির টান। নির্দ্বিধায়, নিশ্চিন্তে এখানে আশ্রয় নিতে পারি। দিন কয়েক থাকার পরেই শুনলাম আমার মাতৃভূমি বাংলাদেশ অশান্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। শেখ হাসিনা পরবর্তী সময় যে কী ভয়ঙ্কর হতে পারে তা আমাদের কল্পনাতীত। সংখ্যালঘুদের উপরে বর্বরোচিত অত্যাচার চোখের সামনে দেখেও চেনা মানুষেরা কেমন অচেনা হয়ে থাকতে পারেন তা বোধহয় এই গৃহযুদ্ধ শুরু না হলে টের পেতাম না। অদ্ভুত এক আতঙ্ক আমার মনে চেপে বসেছে। আমার দেশ অশান্ত, আগুন জ্বলছে। আমি দেশে ফিরতে চাই। আমার পরিজনেরা আছেন সেখানে। কিন্তু প্রবল ভাবে ভয় করছে, যে ভাবে একের পর এক মন্দিরে, বাড়িতে, দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে! ধর্মান্ধ কিছু উগ্রবাদী সংগঠনের লোক বাংলাদেশের রুচি, সংস্কৃতিকে ধুলোয় লুটিয়েছে। কে কার কথা শুনবে! এমন ব্যবহারের সঙ্গে আমরা পরিচিত ছিলাম না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি ভাঙা হল। ভাবা যায়! এ দেশে মহত্মা গান্ধী বা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি ভাঙার মতো ঘটনা। বিপন্ন বোধ করছি প্রতিনিয়ত। ভারত সরকারের কাছে আমার বিনীত আর্জি আমাদের রক্ষা করার ব্যবস্থা হোক। নইলে আমাদের সম্ভ্রম, অর্থ, সম্পদ সব কেড়ে নেবে কিছু দুষ্কৃতী। তারা হয়তো মুখোশধারী। বাধ্য হয়েই পরিবারের জন্য বাংলাদেশে ফিরছি। ঘোজাডাঙা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী অনেক সাহায্য করেছে। আমার দেশের থেকেও আজ ভারত অনেক বেশি নিরাপদ বলে মনে হচ্ছে। আমার প্রিয় বাংলাদেশ শান্ত হোক এই কামনা করি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement