—প্রতীকী চিত্র।
রায়দিঘির একটি সমবায় ব্যাঙ্কে এক কোটিরও বেশি টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। খাড়ি এলাকায় অবস্থিত ‘ইউনিয়ন লার্জ সাইজ প্রাইমারি এগ্রিকালচার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’ নামে ওই সমবায় ব্যাঙ্কটির কাছেই কাশীনগরে ব্যাঙ্কের একটি শাখা দফতর রয়েছে। অভিযোগ, শাখা দফতরের ইনচার্জ মোহনলাল হালদার আর্থিক তছরুপ করেছেন। অভিযুক্ত মোহনলাল আবার কাশীনগর পশ্চিমপাড়ার তৃণমূলের বুথ সভাপতি ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই সমবায় ব্যাঙ্কে হাজার দু’য়েক গ্রাহক আছেন। ২০২২-২৩ আর্থিক বর্ষে অডিট রিপোর্টের পরেই মোহনলালের বিরুদ্ধে প্রায় ১ কোটি ১১ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ ওঠে। দুর্নীতির সঙ্গে স্থানীয় আরও কিছু তৃণমূল নেতা জড়িত বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। বিষয়টি জানতে পেরে সরব হন আমানতকারী ও শেয়ার হোল্ডাররা। সমবায়ের জেনারেল ম্যানেজার শ্রীকৃষ্ণ মণ্ডল বিভাগীয় দফতরে অভিযোগ জানান। পরে পুলিশেরও দ্বারস্থ হন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, আর্থিক দুর্নীতি ধরা পড়ার পরে মোহনলাল ১০ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছিলেন। বাকি টাকা ফেরাতে পারেননি।
মোহনলাল হালদারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। মথুরাপুর ২ বিডিও নাজির হোসেন বলেন, “মাস দেড়েক আগে ৩-৪ জন গ্রাহক ওই আর্থিক দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই মতো জেলা থেকে তদন্তের পরে আর্থিক তছরুপ ধরা পড়েছে। এক কোটির বেশি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে।”
সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, “কোটি টাকার বেশি আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। অথচ, এখনও পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেনি। তাঁর সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হয়নি।”
রায়দিঘির তৃণমূলের বিধায়ক অলোক জলদাতাও তছরুপের বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “সাধারণ মানুষের টাকা ফেরত দেওয়া উচিত। না হলে কঠোর শাস্তি পাওয়া দরকার। প্রশাসন কঠোর হাতে ব্যবস্থা নিক।” মোহনলাল আগে দলের বুথ সভাপতি থাকলেও বর্তমানে কোনও পদে নেই বলে দাবি বিধায়কের।