মন্দির চত্বরে ভক্তদের ভিড়। ছবি: দিলীপ নস্কর।
বিকেল তখন ৪টে। মূল সন্ন্যাসী তখনও ঝাঁপের অনুমতি দেননি। বিভিন্ন এলাকা থেকে কাতারে কাতারে দল বেঁধে সন্ন্যাসীরা অবশ্য তত ক্ষণে চলে এসেছেন মন্দির চত্বরে। ‘ব্যোম ভোলা’ রবে মুখরিত এলাকা। মন্দিরের সামনে ঝাঁপ দেওয়ার জায়গা তৈরি হয়েছে। রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারের কেশবেশ্বর মন্দিরে গিয়ে দেখা গেল এই দৃশ্য।
প্রচলিত আছে, প্রায় আড়াইশো বছর আগে ওই এলাকার জমিদার ছিলেন বরদাপ্রসাদ রায়চৌধুরী। মন্দির তৈরির আগে ওই এলাকা থেকে বয়ে যেত বাইন নদী। ওই নদীর তীরে বর্তমানে জনপদ গড়ে উঠেছে। বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে নদীটিও। সে সময় বরদাপ্রসাদ তাঁর ঠাকুর্দা কেশবেশ্বরের নামে মন্দিরটির নামকরণ করেছিলেন। জেলার অন্যতম বিখ্যাত ওই মন্দিরে সেই আড়াইশো বছর আগে থেকে সন্ন্যাসী হওয়ার প্রথা চলে আসছে।
রবিবার বিকেলে মন্দিরের বারান্দায় উঠে অনেক সন্ন্যাসীরা আম, বাতাসা, বেল, ডাব ভক্তদের উদ্দেশে ছুঁড়ে দিচ্ছিলেন। ঝাঁপের আগে এটাই প্রথা বলে জানালেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। ওই বেল-ডাব ভক্তদের মাথায় লেগে মাঝে মধ্যে জখম হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। মন্দির কমিটির সম্পাদক মলয় গায়েন, মধুসূদন নস্কররা জানালেন, এ বারে এই শিব মন্দিরে সন্ন্যাসী হয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার পুণ্যার্থী। জেলার বাইরে থেকেও অনেকে আসেন এখানে।