স্কুলে শিবির, দিনের দিন শংসাপত্র পাচ্ছে পড়ুয়ারা

দিনের দিন হাতে হাতে জাতিগত শংসাপত্র পেয়ে যাচ্ছে স্কুলের পড়ুয়ারা। এত দিন যে কাজে সময় লাগত পাঁচ-ছ’মাস। বিডিও অফিসে বারবার খবর নিতে হতো, শংসাপত্র মহকুমাশাসকের দফতর থেকে এসে পৌঁছেছে কিনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বনগাঁ শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৩৩
Share:

হাতে হাতে শংসাপত্র। —নিজস্ব চিত্র।

দিনের দিন হাতে হাতে জাতিগত শংসাপত্র পেয়ে যাচ্ছে স্কুলের পড়ুয়ারা। এত দিন যে কাজে সময় লাগত পাঁচ-ছ’মাস। বিডিও অফিসে বারবার খবর নিতে হতো, শংসাপত্র মহকুমাশাসকের দফতর থেকে এসে পৌঁছেছে কিনা।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী একজন পড়ুয়াকে জাতিগত শংসাপত্র পেতে হলে প্রথমে স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিসে প্রয়োজনীয় নথিপত্র দিয়ে আবেদন করতে হয়। সেখান থেকে সেই সব নথি যায় বিডিও অফিস হয়ে মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে। সেখান থেকে শংসাপত্র তৈরি হয়ে ফের আসে বিডিও অফিসে। সেখান থেকেই মেলে শংসাপত্র। সরকারি ভাবে ওই প্রক্রিয়া শেষ হতে একমাস সময় লাগে বলে দাবি করা হলেও আবেদনকারীদের অভিজ্ঞতা, পাঁচ-ছ’মাস কেটেই যায়।

বনগাঁর মহকুমাশাসক সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের পরিকল্পনায় বদলে যাচ্ছে পরিস্থিতি। দিনের দিনই পড়ুয়াদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন তিনি।

Advertisement

প্রাথমিক ভাবে বনগাঁ মহকুমার বনগাঁ, বাগদা এবং গাইঘাটার তিনটি স্কুলকে বেছে নেওয়া হয়েছে। আগে থেকে সেই স্কুলের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রশাসনের কর্তারা যোগাযোগ করছেন। নির্দিষ্ট দিনে স্কুলে শিবির করে ওই দিনই শংসাপত্র তুলে দেওয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের হাতে। তার আগে পড়ুয়ারা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে নথিপত্র দিয়ে আবেদন করতে পারে। নির্দিষ্ট দিনে এসেও আবেদন করতে পারে। সে সব শিবিরেই পরীক্ষা হয়ে যাবে।

ইতি মধ্যেই বনগাঁ ব্লকের শ্রীপল্লি প্রিয়নাথ উচ্চ বিদ্যালয়ে শিবির করে ৩১৩ জন পড়ুয়াকে দিনের দিন শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। সোমবার শিবির ছিল গাইঘাটা ব্লকের ঠাকুরনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, এ দিন ১০৫ জন পড়ুয়ার হাতে শাংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘পড়ুয়ারা সরকারি অফিসে না এসে আমরাই তাদের দরজায় পৌঁছে যেতে চেয়েছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement