ধূর দেহ তোলা হল কবর থেকে। ছবি: সামসুল হুদা।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে প্রায় দু’মাস পর এক মহিলার দেহ কবর থেকে তুলে ময়না তদন্তে পাঠাল পুলিশ। ভাঙড়ের সোন্দালিয়া এলাকার ঘটনা। গত জুলাই মাসে শ্বশুরবাড়িতে মৃত্যু হয় মনিমা খাতুন নামে এক মহিলার। শ্বশুরবাড়ির তরফে আত্মহত্যা বলে দাবি করা হয়েছিল। তবে বাপের বাড়ির লোকজন খুনের অভিযোগ তোলেন। থানায় অভিযোগ দায়ের করা সত্ত্বেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি বলে দাবি বাপের বাড়ির লোকজনের। তারপরেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। আদালত দেহ তুলে ময়না তদন্তের নির্দেশ দেয়। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, ভাঙড় ১ বিডিও দীপ্যমান মজুমদার ও জীবনতলা, ভাঙড় থানার পুলিশের উপস্থিতিতে বধূর দেহ কবর থেকে তোলা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর তিনেক আগে সোন্দালিয়ার বাসিন্দা মনিমার বিয়ে হয়েছিল জীবনতলা থানার রামরায়ের ঘেরি এলাকার বাসিন্দা আলিনুর মোল্লার সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হত বলে অভিযোগ। পরে ওই দম্পতির একটি কন্যাসন্তান হয়। স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ওই মনিমা বাপের বাড়ি চলে আসেন। পরে আলিনুর আবার স্ত্রীকে নিয়ে যান। পরবর্তী সময়ে মনিমা ফের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। অভিযোগ, গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ দিতে থাকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তিনি রাজি না হওয়ায় মারধর করা হত বলে অভিযোগ।
জুলাই মাসে শ্বশুরবাড়ি থেকে মনিমার বাপের বাড়িতে ফোন করে জানানো হয়, তাঁদের মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু বাপের বাড়ির লোকজন গিয়ে দেখেন, মেয়েকে মাটিতে শোয়ানো রয়েছে। মাথায়, শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে অভিযোগ।
মনিমার দাদা সালাউদ্দিন মোল্লা বলেন, “ওরা আমার বোনকে পিটিয়ে খুন করেছিল। কিন্তু পুলিশকে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। দোষীরা যাতে শাস্তি পায়, সে জন্য আমরা আদালতে দ্বারস্থ হই।” পুলিশ অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে চায়নি।