বন্ধ-বাণিজ্য: পেট্রপোলে দাঁড়িয়ে আছে লরি। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক
এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিক হল না পেট্রাপোল-বেনাপোলের মধ্যে পণ্যভর্তি ট্রাকের যাতায়াত। এর ফলে ব্যাহত হচ্ছে সীমান্ত বাণিজ্য। তবে সমস্যা মেটাতে রবিবার দু’দেশের যৌথ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট মনিটারিং কমিটির সদস্যেরা বৈঠক করছেন।
বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের বেনাপোল বন্দরে এ দেশ থেকে যাওয়া পণ্য ভর্তি ট্রাকের জন্য নির্ধারিত টাকার চেয়ে বেশি টাকা নিচ্ছে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে এ দেশের ট্রাক মালিক ও পরিবহণ ব্যবসায়ীরা শনিবার সকাল থেকে আন্দোলন শুরু করেন। এ দেশের ট্রাক চালক ও খালাসিরা পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে যেতে চাইছেন না। যার জেরে পণ্য রফতানি-আমদানির কাজ থমকে গিয়েছে। ট্রাক মালিক সংগঠন ও পরিবহণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দেশ থেকে পণ্য নিয়ে কোনও ট্রাক বেনাপোলে গেলে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে টাকা দিতে হয়। মূলত রাতে ট্রাকের নিরাপত্তা, পণ্য ওঠানো নামানো, শৌচাগার ব্যবহার ও সার্ভিস ট্যাক্স-সহ বিভিন্ন বিষয়ের জন্য এই টাকা নেওয়া হয়।
অভিযোগ, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ এ দেশের ট্রাক চালকদের কাছ ইচ্ছে মতো টাকা দাবি করে। সমস্যা মেটাতে ১২ সেপ্টেম্বর পেট্রাপোলে দু’দেশের পণ্য আমদানি রফতানির সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠন ও উভয় দেশের সরকারি প্রতিনিধিরা বৈঠক করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, এখন থেকে ও দেশে যাওয়া ১০ চাকার ট্রাকের জন্য ১৭০০ টাকা, ৬ চাকার ট্রাকের জন্য ১২০০ টাকা, ১২ চাকা ট্রাকের জন্য ২০০০ টাকা দেওয়া হবে। সেই টাকা চালকেরা নন, এ দেশের ক্লিয়ারিং এজেন্টরা ও দেশের ক্লিয়ারিং এজেন্টদের হাতে পৌঁছে দেবেন।