ভাঙাচোরা রাস্তা। নিজস্ব চিত্র।
শীত পড়তেই সুন্দরবনে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকেরা। কিন্তু যাতায়াতের দু’টি প্রধান রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় হয়রান হচ্ছেন সবাই। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় ১৪ বছর আগে ওই রাস্তার সংস্কার হয়েছিল। তার পর থেকে কিছুই হয়নি।
দীর্ঘ দিন সংস্কার না হওয়ায় গোসাবা ব্লকের গোসাবা থেকে পাখিরালয় পর্যন্ত প্রায় ৮ কিমি রাস্তা ও গোসাবা থেকে জটিরামপুর পর্যন্ত প্রায় ৬ কিমি রাস্তা দীর্ঘ দিন ধরে খারাপ। সুন্দরবনে যাঁরা ঘুরতে আসেন তাঁদের অনেকেই এই দু’টি রাস্তা ব্যবহার করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ২০০২ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য গোসাবার রাঙাবেলিয়াতে সুন্দরবন মেলার উদ্বোধনে আসেন। তখনই ওই দু’টি রাস্তায় ইটের উপরে কংক্রিটের ঢালাই করা হয়। সেই শেষ। তার পর থেকে ওই রাস্তার কোনও সংস্কার হয়নি। এখন রাস্তা দু’টির উপরের কংক্রিট উঠে গিয়ে ইট বেরিয়ে পড়েছে। তৈরি হয়েছে বড়ো বড়ো গর্ত। অবস্থা এমনই যে, ওই রাস্তা এখন গাড়ি চলাচলের অযোগ্য। মাঝে মধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, খারাপ রাস্তার কারণে মার খাচ্ছে ব্যবসা।
সুন্দরবন নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, ‘‘ওই রাস্তাটি নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। রাস্তাটির সংস্কারের দাবিতে আমরা বহু আন্দোলন, রাস্তা অবরোধ করেছি। কিন্তু আশ্বাস ছাড়া কিছুই মেলেনি।’’ গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর বলেন, ‘‘রাস্তা দু’টি সংস্কারের জন্য জেলাতে জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা প্রকল্পে ওই রাস্তা তৈরী হবে। তার জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরুর পথে।’’ গোসাবার বিডিও তাপস কুণ্ডুর বলেন, ‘‘অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ ওই রাস্তা দু’টি সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করছি দ্রুত কাজ শুরু হবে।’’