জয়নগরে জমি নিয়ে বিবাদ

রড দিয়ে খুন, ভাঙচুর

জমি বিবাদের জেরে এক ব্যক্তিকে লোহার রড দিয়ে মেরে খুনের অভিযোগে ছ’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে জয়নগরের নতুনহাট মোড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জয়নগর শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৭ ০১:৪০
Share:

শোকার্ত: ছবি: দিলীপ নস্কর

জমি বিবাদের জেরে এক ব্যক্তিকে লোহার রড দিয়ে মেরে খুনের অভিযোগে ছ’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে জয়নগরের নতুনহাট মোড়ে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রাহান আলি সর্দার (৩৫)। বাড়ি বকুলতলা গ্রামে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে জমি দখল নিয়ে নুরজামান, সাজাহানের পরিবারের সঙ্গে রাহান আলিদের ঝামেলা চলছিল। অনেকবার মেটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সমাধান হয়নি।’’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ দলবল নিয়ে ওই জমিতে জোর করে দোকান ঘর নির্মাণ করছিল নুরজামান। সে সময় রাহান আলি বাধা দেন। শুরু হয় বচসা। এরপরেই পুলিশে খবর দেন রাহান আলি। ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে তার সামনেই চলে কথা কাটাকাটি। এরপরেই আচমকা রাহানের মাথায় লোহার রড ও ইট দিয়ে আঘাত করে নুরজামানরা।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন রাহান। পুলিশের গাড়ি করে তাঁকে নিমপীঠ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকেরা তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। দুপুর ১২টা নাগাদ পথেই মারা যান রাহান।

ধুলিসাৎ: ভাঙচুরের পরে। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল

রাহানের বাবা ইউনুস আলি সর্দার বলেন, ‘‘যা হয়েছে পুলিশের সামনেই হয়েছে। ওদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। শাসকদলের এক নেতার মদতেই এ সব হল।’’ জয়নগর বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস বলেন, ‘‘দুই পরিবারের সদস্যই আমাদের সমর্থক। এখানে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। এটি রাজনৈতিক সংঘর্ষও নয়। সম্পূর্ণ দু’টি পারিবারিক বিবাদ। পুলিশকে বলেছি যথাযথ ব্যবস্থা নিতে।’’

এই খবর চাউর হতেই ওই এলাকায় গিয়ে বাড়ি, দোকান ভাঙচুর করে এলাকার কিছু মানুষ। পুলিশ জানায়, যারা খুন করেছে তাদের উপরেও হামলা চালানো হয়। অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা ঘরছাড়া। এলাকায় পুলিশি টহল চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, রাহানের স্ত্রী লিলুফা সর্দার জেলা পরিষদের সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। বছর খানেক আগে তৃণমূলে যোগ দেন। রাহানও তৃণমূলে যোগ দেন। রাহানের দুই ছেলেমেয়ে। গ্রামবাসীরা জানান, এলাকায় ভাল মানুষ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন রাহান। কেউ কোনও বিপদে পড়লে তিনি সাহায্যও করতেন। এমনকী আর্থিক সাহায্যও করতেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement