স্ত্রীকে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন স্বামীর
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোপালনগর
স্ত্রীকে খুন করার জন্য এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিলেন বিচারক। বৃহস্পতিবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক নীলাঞ্জন দে (ফ্রাস্ট ট্রাক-২) ওই আদেশ দেন। পুলিশ জানিয়ছে, সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি মধুসূদন মালোর বয়স ৫২। বাড়ি গোপালনগর থানার আকাইপুরের দ্বারবাসিনী গ্রামে। পুলিশ সূত্রের খবর, বাড়িতে রুটি খাওয়া নিয়ে বিবাদের জেরে স্ত্রী অষ্ট মালোর গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে মধুসূদন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় অষ্টদেবীকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিত্সকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০০০ সালের এপ্রিলে। পুলিশ মধুসূদনকে গ্রেফতার করে। জামিন পাওয়ার পরও সে আর আদালতে হাজির হত না বলে পুলিশ জানিয়েছে। এরপরই আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। বছর তিনেক আগে পুলিশ তাকে ফের গ্রেফতার করে। তারপরে থেকে সে জেলেই ছিল। বনগাঁ মহকুমা আদালতের মুখ্য ভারপ্রাপ্ত সরকারি আইনজীবী সমীর দাস বলেন, “মোট ২৫ জনের সাক্ষী নেওয়া হয়েছে। তাঁর মধ্যে ছিল মধুসূদনের ছ’বছরের মেয়ে মুক্তিও। বিচারকের সামনে সে বলেছিল তার চোখের সামনে বাবা দা দিয়ে মায়ের গলায় কোপ মেরে খুন করেছে। বিচারকের কাছে বাবার শাস্তি দাবি করেছিল সে।
ত্রাণের গম পাচার, অভিযুক্ত প্রধান
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাসন্তী
ত্রাণের গম নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। অন্যত্র পাচার করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে ওই গম আটকে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসী। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রামচন্দ্রখালি পঞ্চায়েতের সোনাখালি বাজার এলাকায়। মজুত গম আটক করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই পঞ্চায়েতের প্রধান মনোয়ারা মোল্লা গত ৮ নভেম্বর ডিলারদের থেকে ওই গম তোলেন। কিন্তু সেই গম পঞ্চায়েতের গুদামে না রেখে সোনাখালি বাজারের কাছে আকবর শেখ নামে এক ব্যক্তির দোকানে রাখে। সেখান থেকেই গম অন্যত্র পাচার করে দেওয়া হচ্ছে বলে তাঁদের দাবি। তাঁরা আরও দাবি করেন, আকবর শেখ আরএসপি নেতা তথা বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি মিন্টু ইসলাম খুনের ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্য ছুন্নত শেখ এ দিন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে আকবরের দোকান থেকে ওই গম বাইরে বিক্রি করে দিচ্ছিলেন। গ্রামবাসীরা সে সময় তাঁকে ধরে ফেলেন। ঘটনাস্থলে যান বাসন্তীর বিডিও কওসার আলি এবং বাসন্তী থানার পুলিশ। বিডিও দোকান ঘরে তালা দিয়ে চলে যান। প্রধানের সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
মায়ানমারের ১৯ নাগরিক গ্রেফতার গোপালনগরে
অবৈধ উপায়ে সীমান্ত পার হয়ে এ দেশে ঢোকায় মায়ানমারের ১৯ জন নাগরিককে গ্রেফতার করল বনগাঁ রেলপুলিশ। রেল পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ, ৫ জন মহিলা ও ৮ জন শিশু। এঁরা প্রত্যেকেই মায়ানমারের বোলিবাজার এলাকার বাসিন্দা। রেল পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশ হয়ে বনগাঁর বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে চোরাপথে ভারতে ঢুকেছিল। এ জন্য দালালদের টাকাও দিয়েছে তারা। কাজের উদ্দেশ্যেই তারা দিল্লি যাচ্ছিল। তাদের দাবি, নিজের দেশে অত্যাচারিত হওয়ার জন্যই তারা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে বুধবার গাইঘাটার আংরাইল থেকে বিএসএফ সাত বাংলাদেশিকে পাকড়াও করে। পরে তাদের গাইঘাটা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা বাংলাদেশের নড়াইল ও যশোহরের বাসিন্দা। দালাল ধরেই চোরাপথে এ দেশে ঢুকেছিল। মূলত কাজ ও চিকিত্সার প্রয়োজনেই তারা এ দেশে আসছিল বলে ধৃতরা জানিয়েছে।
জুয়ারি ধৃত গাইঘাটায়
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ১২ জন জুয়ারিকে গ্রেফতার করল গাইঘাটা থানার পুলিশ। বুধবার রাতে গাইঘাটার আংরাইল বিশ্বাসপাড়ার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে ধরা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা পুলিশ আটক করেছে। ধৃতদের বাড়ি ওই এলাকাতেই। দীর্ঘদিন ধরেই বাড়িটির দোতলায় সন্ধ্যায় জুয়ার আসর বসছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। বাইরের বেশ কিছু দুষ্কৃতীও ওই ঠেকে আসত বলে বাসিন্দারা পুলিশকে জানিয়েছেন।