টুকরো খবর

মেয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। বয়স ১৪। তাকে কিছু না জানিয়েই বিয়ে ঠিক করে ফেলেছিলেন বাড়ির লোক। পাত্রপক্ষ চলে এসেছিল আশীর্বাদ করতে। বাবা-মা মেয়েকে বোঝান, গুরুজনদের সামনে লক্ষ্মী হয়ে বসতে। মেয়ে অবশ্য তাতে রাজি হয়নি।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৫ ০০:১৬
Share:

পড়তে চেয়ে বিয়ে আটকাল কিশোরী
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট

Advertisement

মেয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। বয়স ১৪। তাকে কিছু না জানিয়েই বিয়ে ঠিক করে ফেলেছিলেন বাড়ির লোক। পাত্রপক্ষ চলে এসেছিল আশীর্বাদ করতে। বাবা-মা মেয়েকে বোঝান, গুরুজনদের সামনে লক্ষ্মী হয়ে বসতে। মেয়ে অবশ্য তাতে রাজি হয়নি। বিয়ে আটকাতে নিজেই চাইল্ড লাইনে খবর পাঠিয়ে দেয় সে। চলে আসে পুলিশ। শেষমেষ আশীর্বাদ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন বাড়ির লোক। পাত্রপক্ষ কথা দেয়, মেয়েটি সাবালক হলে বিয়ের কথা পাকা করবেন, তার আগে নয়। ঘটনাস্থল রবিবার সকালের বসিরহাটের ইটিন্ডার নিকারিপাড়া। প্রশাসন সূত্রে খবর, এ দিন সকালে বাড়ির বড়রা মেয়েটিকে জানায়, তার বিয়ে ঠিক হয়েছে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার নামখানা থেকে পাত্রের বাড়ির লোকজন এসেছেন আশির্বাদ করতে। তা শুনে ওই কিশোরী বিয়ে করবে না বলে কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। বাবা-মা অবশ্য সে কথা শুনতে চাননি। তাঁরা মেয়েকে জোর করতে থাকেন। তখন নিজের এক বান্ধবীকে ঘটনার কথা জানিয়ে চাইল্ড লাইন এবং পুলিশে খবর দিতে বলে সে। বন্ধুর কথা শুনে ওই কিশোরী ফোন করে চাইল্ড লাইনে। চাইল্ড লাইনের তরফে বসিরহাট ১ এর বিডিও-কে বিষয়টি জানানো হয়। বিডিও তত্‌ক্ষণাত্‌ গ্রামে পুলিশ পাঠান। মেয়ে যে পুলিশে খবর পাঠিয়েছে, সে কথা জানতে পেরে বাড়িতে হুলুস্থুল পড়ে যায়। প্রতিবেশিরাও মেয়েটির বাবা-মাকে বোঝান, এত কম বয়সে মেয়ের বিয়ে দেওয়া যায় না। এর পরেই দু’পক্ষের সম্মতিতে আশীর্বাদ স্থগিত করে দেওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই বসিরহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে চলে আসে।

Advertisement

জন-সংযোগে পুলিশি উদ্যোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • হাবরা

সম্প্রতি হাবরা থানার উদ্যোগে শুরু হয়েছে এক নকআউট ফুটবল প্রতিযোগিতা। হাবরা অ্যাথলেটিক ক্লাবের মাঠে ওই থানা এলাকার মোট ১৬টি দলকে নিয়ে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেছেন জেলার ডিএসপি (হেড কোয়ার্টার) দুর্বার বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুরসভারহ প্রধান নীলিমেশ দাস, আইসি মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় বেড়গুম ২ এবং পৃথিবা ১ ক্লাব। বেড়গুম ক্লাব ২-০ গোলে জেতে। প্রথমার্ধের ২০ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন বেড়গুমের তাপস সর্দার। পরে সেই ব্যবধান বাড়ান সন্দীপ রায়। তাপস সেই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। দু’দলের খেলা দেখতে মাঠে প্রচুর ভিড় হয়েছিল। হাবরা থানার এক সূত্র জানিয়েছেন, ফাইনাল আগামী ৭ মার্চ। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন, “এলাকার বাসিন্দার সঙ্গে জন-সংযোগ বাড়াতে জেলার ২১টি থানায় ফুটবল বা অন্য কোনও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে।” এ ছাড়াও নানা প্রতিভা তুলে আনাও এই প্রতিযোগিতার অন্যতম লক্ষ্য বলে তিনি জানিয়েছেন।

যুবককে গুলিতে খুনের চেষ্টা
নিজস্ব সংবাদদাতা • অশোকনগর

কাজে যাওয়ার পথে এক যুবককে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তাঁরই এক পরিচিতের বিরুদ্ধে। সোমবার সকালে অশোকনগর স্টেশনের কাছে ওই ঘটনায় গুরুতর জখম বিজয় গায়েনকে আর জি কর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর কাঁধে গুলি লেগেছে। পুলিশ জানায়, গুলি চালানোর ঘটনায় শ্যামল দাস নামে এক যুবককে খোঁজা হচ্ছে। তদন্তকারীদের অনুমান, বিজয়ের সঙ্গে শ্যামলের পুরনো গোলমালের জেরেই ওই ঘটনা। দিন কয়েক আগে শ্যামল বিজয়ের স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করেছিল এবং কুপ্রস্তাব দিয়েছিল বলে অভিযোগ। তা নিয়েই গোলমাল বাধে। এ দিন বিকেল পর্যন্ত গুলি চালানোর ঘটনা নিয়ে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement