বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে ব্রততী। ছবি: সুজিত দুয়ারি।
যে পেশায় যেতে স্বপ্ন দেখেন দেশের লক্ষ লক্ষ পড়ুয়া, সেই আইএএস হওয়ার স্বপ্নই দেখেছিলেন অশোকনগরের ব্রততী। লক্ষ্যে স্থির থেকে পৌঁছে গিয়েছেন স্বপ্নের কাছাকাছি। সদ্য প্রকাশিত ইউপিএসসি পরীক্ষায় ব্রততী দত্ত সর্বভারতীয় স্তরে ৩৪৬ র্যাংক অর্জন করেছেন। ব্রততী বললেন, ‘‘মাসখানেক পরে আমাদের সার্ভিস অ্যালোকেট হবে। তখন নির্দিষ্ট করে বলতে পারব, আমি কোন চাকরি করব। তবে আমি চাই আইএএস হতে।’’
আর পাঁচটা সাধারণ বাঙালি বাড়ির মতোই পরিবেশ ব্রততীর বাড়িতেও। সেখান থেকে তাঁর এমন নজরকাড়া সাফল্যে খুশির হাওয়া অশোকনগর জুড়ে। অশোকনগরের গোলবাজার এলাকার বাসিন্দা বছর পঁচিশের ব্রততীর বাবা গৌরহরি এক চিকিৎসকের অধীনে কম্পাউন্ডারের কাজ করেন। মা অপর্ণা রাজ্য সরকারের কর্মী। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ব্রততী বলেন, ‘‘যে সুযোগ আমি পাব তা নিয়েই এগিয়ে যাব। সেটাই ভাল করে করব।’’
হাবড়ার বাণীপুরে নবোদয় বিদ্যালয়ে সাত বছর পড়াশোনা করেছেন ব্রততী। এরপরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষিবিদ্যায় সাম্মানিক স্নাতক হন। পরে ওড়িশার ভুবনেশ্বর থেকে এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি থেকে কৃষিবিদ্যা নিয়ে স্নাতকোত্তর করেছেন। তবে বরাবরই তাঁর লক্ষ্য ছিল জাতীয় স্তরের আমলা হতে ইউপিএসসি পরীক্ষায় সফল হওয়া।
সেই লক্ষ্যেই স্নাতকোত্তরের পড়া চলাকালীন ব্রততী ২০২১ সাল থেকে ইউপিএসসির জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। ওই সময়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিসেস স্টাডি সেন্টারে (এসএনটিসিএসএসসি) প্রশিক্ষণের সুযোগ পান ব্রততী। তাঁর কথায়, ‘‘ওখানে সুযোগ পাওয়ার জন্য একটা পরীক্ষা হয়েছিল। ২০০ জন সুযোগ পেয়েছিল। তার মধ্যে আমিও ছিলাম।’’ টানা প্রশিক্ষণ নিয়েই অবশেষে আইএএস হওয়ার ব্রত রাখার কাছাকাছি ব্রততী।
এ দিন ব্রততীর বাড়িতে যান হাবড়া ২ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ গুপি মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘ব্রততীর সাফল্যে অশোকনগরের মানুষ গর্বিত। আশা করব, আগামী দিনে মানুষের জন্য ভাল কাজ করবেন তিনি। শুভকামনা রইল।’’