ফাইল চিত্র
দীর্ঘ জটিলতা কাটিয়ে পেট্রাপোল সুসংহত চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে পণ্য রফতানির কাজ শুরু হওয়ার পরে বৃহস্পতিবারই প্রথম একদিনে ১০০টির বেশি পণ্যভর্তি ট্রাক বাংলাদেশের বেনাপোলে ঢুকল। ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার পেট্রাপোলের ম্যানেজার শুভজিৎ মণ্ডল বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার পেট্রাপোল থেকে ১০২টি ট্রাক পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে গিয়েছে।’’
রবিবার দুপুর থেকে পণ্য রফতানির কাজ শুরু হলেও বাণিজ্যে এখনও পুরোপুরি গতি আসেনি। রবিবার বেনাপোলে গিয়েছিল মাত্র ২৪টি ট্রাক। তারপর কোনও দিন ১৪টি, কোনও দিন ৩৭টি, কোনও দিন ৫৮টি করে ট্রাক বেনাপোলো যাচ্ছে।
বন্দর সূত্রের খবর, মূলত পর্যাপ্ত ট্রাক চালকের অভাবের কারণে পণ্য রফতানির কাজ দ্রুত গতিতে সম্ভব হচ্ছে না। পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ট্রাক চালকের সংখ্যা ৭৬ জন হয়েছে। চেষ্টা করা হচ্ছে চালকের সংখ্যা বাড়িয়ে বাণিজ্যের গতি আনার।’’
বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ এ দেশে চালকদের আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, বেনাপোল এখন গ্রিন জোনে। ভারতীয় ট্রাক চালকদের বেনাপোলে করোনা সংক্রমণ হওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই। তাঁরা যেন নিশ্চিতে বেনাপোলে আসেন।
বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দাবি, ভারত থেকে যদি রোজ দুপুরের মধ্যে ২০০-৩০০ ট্রাক বেনাপোল যায়, তা হলে তাঁরা তা সন্ধ্যার মধ্যে খালি করে দিতে পারবেন। কিন্তু ভারত থেকে পণ্য নিয়ে ট্রাক দেরি করে বেনাপোলে ঢুকছে বলে অভিযোগ।
পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পেট্রাপোল দিয়ে বেনাপোলের সঙ্গে দিনে ২৪ ঘণ্টা বাণিজ্যের কাজ হয় স্বাভাবিক সময়ে। কিন্তু এখন জেলা প্রশাসনের নির্দেশে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কাজ হচ্ছে। সরকারি আধিকারিকেরা সকাল ৬টার মধ্যে চলে আসছেন। কিন্তু রফতানিকারী-সহ বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত লোকজন আসতে দেরি করছেন। কেউ সকাল ৭টার সময়ে আসছেন, কেউ বিকেল ৫টার সময়ে আসছেন। ফলে কিছু ট্রাক দুপুরের মধ্যে ঢোকানো যাচ্ছে না।
কার্তিক বলেন, ‘‘সকালের দিকে বন্দরে লিঙ্ক থাকছে না। কলকাতা থেকে ব্যবসায়ীদের আসতে সমস্যা হচ্ছে। গেটপাস নিতে দেরি হচ্ছে, পুরনো নথিপত্র ঠিক করতে সময় লাগছে। ফলে দুপুরের মধ্যে অনেক সময়ে ট্রাক বেনাপোলে ঢোকানো যাচ্ছে না।’’