Fencing work at Bangaon

শেষ হয়নি সীমান্তের বেড়া

কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অসহযোগিতার ফলে বাংলাদেশ সীমান্ত ‘সিল’ করার কাজ ঝুলে রয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনায় ৩১৫ কিলোমিটার বিস্তৃত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। কী অবস্থা সেখানে? খোঁজ নিল আনন্দবাজার।

Advertisement

সীমান্ত মৈত্র  

বনগাঁ শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:৪৬
Share:

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া। নিজস্ব চিত্র

কয়েক বছর আগে গাইঘাটার আংড়াইল সীমান্তে বাড়ির চৌহদ্দি দিয়ে গরু পাচারে বাধা দেওয়ায় বাংলাদেশি পাচারকারীরা পিটিয়ে-কুপিয়ে খুন করেছিল স্থানীয় বাসিন্দা তথা আরপিএফ জওয়ান নির্মল ঘোষকে। কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের এ দেশে ঢুকে যে ডাকাতি-খুন সহ নানা অপরাধমূলক কাজ করে ফিরে যায়, সে তথ্য পুলিশের খাতায় কম নয়। মাদক পাচার, অস্ত্র পাচার, অনুপ্রবেশ দৈনন্দিন ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্তে। সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীরা মনে করেন, সর্বত্র কাঁটাতারের বেড়া না থাকার কারণেই পাচার ও অনুপ্রবেশের এই বাড়বাড়ন্ত। বাংলাদেশি পাচারকারী ও দুষ্কৃতীদের আনাগোনার কারণে সীমান্তে নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন বাসিন্দারা। তাঁরা চাইছেন, দ্রুত সীমান্তে সর্বত্র কাঁটাতারের বেড়া দিতে পদক্ষেপ করুক কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার।

Advertisement

গত ২১ নভেম্বর বনগাঁর পুরপ্রধান গোপাল শেঠ নবান্নে চিঠি দিয়ে এই জেলার সীমান্তের সর্বত্র দ্রুত কাঁটাতার দেওয়ার কাজ শেষ করতে আবেদন জানিয়েছেন। চিঠিতে গোপাল জানিয়েছেন, বনগাঁ ও বসিরহাট মহকুমায় সর্বত্র কাঁটাতার না-থাকায় সীমান্ত নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে। এর ফলে সীমান্ত দিয়ে মানব পাচার, মাদক পাচার, চোরাচালান নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদেশি জঙ্গি ঢুকে পড়া অসম্ভব নয়।

গোপাল বলেন, ‘‘সর্বত্র কাঁটাতার দেওয়ার পাশাপাশি যে বেড়া নষ্ট হয়ে গিয়েছে, তা-ও মেরামত করতে হবে।’’

Advertisement

সীমান্তে সর্বত্র কাঁটাতার দেওয়া নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর রয়েছে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে। বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল চাই রোহিঙ্গাদের এ দেশে চোরাপথে নিয়ে এসে তাঁদেরকে নিজেদের ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করতে। সে কারণেই রাজ্য সরকার সীমান্তে কাঁটাতার বসাতে সহযোগিতা করছে না। তা ছাড়া, চোরাচালান এবং পাচারের সুবিধা পায় তৃণমূলের নেতারা। সে কারণে তৃণমূল চায় না সীমান্তে সর্বত্র কাঁটাতার দেওয়া হোক।’’

রাজ্যের সদিচ্ছার অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস পাল্টা বলেন, ‘‘সীমান্তে কাঁটাতার দিতে কেন্দ্রের সদিচ্ছা আছে কি? জমি অধিগ্রহণে রাজ্য যথেষ্ট সহযোগিতা করছে। কেন্দ্র চাইলে সীমান্তে কাঁটাতার এত দিনে বসে যেত। আর সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব বিএসএফের। অনুপ্রবেশ, চোরাচালান বন্ধ করতে না পারাটা কেন্দ্রের ব্যর্থতা।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement