প্রতীকী ছবি।
কচ্ছপ পাচারের মামলায় ধৃত বনগাঁ পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলর গীতা দাসের ছেলে শেখরকে মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে হাজির করানো হল। বিচারক তাঁকে ৩ অগস্টের মধ্যে ট্র্যানজিট রিমান্ডে মধ্যপ্রদেশের সাগর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ৯ অগস্টের মধ্যে সেই রিপোর্ট বনগাঁ আদালতে পাঠানোর নির্দেশও দিয়েছেন বিচারক। শেখরকে নিয়ে মধ্যপ্রদেশ রওনা হচ্ছেন সেখানকার বন দফতরের কর্তারা।
সোমবার দুপুরে বনগাঁ থানার পুলিশ পাইপরোড-সংলগ্ন শিবমন্দির লেন এলাকার বাড়ি থেকে শেখরকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশ বন দফতরের কর্তারা বনগাঁয় এসে শেখরকে রি-অ্যারেস্ট করেন। তারপরে তোলা হয় আদালতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মামলাটি ২০১৭ সালের মে মাসের। মধ্যপ্রদেশের সাগর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল বনগাঁ থানায়। সেখানকার বন দফতর মামলাটি করেছিল। অভিযোগ, শেখর আন্তঃরাজ্য কচ্ছপ পাচার চক্রে জড়িত। অতীতে মধ্যপ্রদেশ বন দফতর কয়েকবার বনগাঁর শেখরের খোঁজে এলেও তখন তাঁকে ধরা যায়নি। বনগাঁ পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গীতা। সম্প্রতি তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যের বিরুদ্ধে যে কাউন্সিলরেরা অনাস্থা এনেছিলেন, গীতা তাঁদের অন্যতম। শেখরের পরিবারের দাবি, তাঁকে মিথ্যা অভিযোগে ষড়যন্ত্র করে গ্রেফতার করা হয়েছে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘শেখরকে গ্রেফতার করতে পুলিশ অতি সক্রিয়তা দেখিয়েছে। গীতার বিজেপিতে যোগাদান করাই এর কারণ।’’ জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক গোপাল শেঠ বলেন, ‘‘শেখর আন্তর্জাতিক কচ্ছপ পাচারের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। বিজেপি কি সব কিছুর মধ্যেই তৃণমূলের ছায়া দেখছে!’’