বিক্ষোভ: মিনাখাঁয়। নিজস্ব চিত্র
সিপিএমের সভা ভন্ডুল করতে বোমা ছোড়া হল— এমনই অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে মিনাখাঁ থানার মালঞ্চে। এ দিন আর সভা করতে পারেনি সিপিএম। মিনাখাঁর নেরুলি হাটখোলায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান দলের নেতা-কর্মীরা। পুলিশের উপস্থিতিতেই বোমাবাজি হয়েছে বলে অভিযোগ। বোমাবাজির অভিযোগ মানেনি তৃণমূল।
বসিরহাটের সাংসদ ইদ্রিশ আলি বলেন, ‘‘নোয়াপাড়া ও উলুবেড়িয়ার উপনির্বাচনে তৃণমূল জেতার পরে ছেলেরা বাজি-পটকা ফাটিয়ে আনন্দ করছিল। সিপিএম নিজেরা লোক জড়ো করতে পারেনি। নিজেদের সভা নিজেরাই নষ্ট করেছে। এখন মিথ্যা অভিযোগ তুলছে আমাদের বিরুদ্ধে।’’
শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, দুর্নীতির অভিযোগে এ দিন বিকেলে মালঞ্চে সভা করার কথা ছিল সিপিএমের। হাসনাবাদ, মিনাখাঁ এবং সন্দেশখালি থেকে দলীয় সমর্থকেরা মিছিল করে আসছিলেন। সিপিএমের দাবি, সভা বানচালের চক্রান্তের খবর পেয়ে মিনাখাঁ থানা এবং বসিরহাটের মহকুমাশাসককে আগাম জানানো হয়েছিল। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু কোনও কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ।
সিপিএমের অভিযোগ, বেলা ৩টেয় সভা শুরুর কথা ছিল। এর এক ঘণ্টা আগে থেকে জায়গায় জায়গায় শুরু হয় বোমাবাজি। প্রায় ৫০টি বোমা ছোড়া হয়। মঞ্চের পিছনে কিছু কাগজ রাখা ছিল। তাতে আগুন ধরে যায়। ভয়ে মানুষ ছুটোছুটি শুরু করেন। কয়েকজন আহতও হয়েছেন।
এই পরিস্থিতির মধ্যে সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য মৃণাল চক্রবর্তী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মহম্মদ সেলিম-সহ কয়েকজন একটি মিছিল নিয়ে সভামঞ্চের দিকে যাচ্ছিলেন। পুলিশ তাঁদের পথ আটকায়।
এরপরেই নেরুলি হাটখোলা বাজারের সামনে শুরু হয় অবরোধ, বিক্ষোভ। মৃণালবাবু বলেন, ‘‘এ দিন গণ্ডগোল হতে পারে, তা পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ করল না। বোমা মারার পরে কিছু লোক আমাদের সাহায্য করতে বেরিয়ে আসেন। তাঁদের মারধর করা হয়। তাঁদের বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে।’’