ব্যাগের ভিতর প্লাস্টিকে মোড়া সেই বোমা। মঙ্গলবার। — নিজস্ব চিত্র।
সাড়ে তিন মাস আগে ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের অধীনে আনার ঘোষণা করেছিল লালবাজার। প্রশাসনিক হাত বদলের পর অনেকেই ভেবেছিলেন এ বার হয়তো ভাঙড় বোমামুক্ত হবে। কিন্তু অগস্টে সেই ঘোষণার পরও প্রায় প্রতি মাসেই বোমা উদ্ধার হয়ে চলেছে ভাঙড়ে। নভেম্বরেই ভাঙড়ের পানাপুকুর এলাকায় লোকালয় থেকে উদ্ধার হয়েছিল তাজা বোমা। তার এক মাসের মধ্যেই মঙ্গলবার আবার বোমা পাওয়া গেল ভাঙড়ে। রাস্তার নীচের কালভার্টে একটি বস্তার ভিতরে রাখা ছিল অন্তত পাঁচ-সাতটি তাজা বোমা। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে কাশিপুর থানার পুলিশ এসে ওই বোমা উদ্ধার করেছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে অজস্র বাজি তৈরির কারখানা রয়েছে। এই কারখানা গুলির আড়ালেই বেআইনি ভাবে বোমা তৈরি করা হয় বলে অভিযোগ। সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্বে ভাঙড়ে বহুবার বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধারও হয়েছে তাজা বোমা। পঞ্চায়েত ভোটের সময় ভাঙড়ের এই অশান্তির বাড়বাড়ন্ত দেখেই ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের অধীনে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য। ভাঙড়ের এলাকাকে আটটি থানায় ভেঙে প্রশাসনিক কাজও শুরু করেছে পুলিশ। এর মধ্যেই একটি কাশিপুর। মঙ্গলবার সেই থানা এলাকাতেই এই বোমা উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ভাঙড়ের কাশিপুর থানার শোনপুর বাবুজান পাড়া এলাকার একটি পরিত্যক্ত জায়গায় বোমা গুলি পরে ছিল। তবে পুলিশের অনুমান দীর্ঘদিন ধরেই ওই বোমাগুলি সেখানে পড়ে রয়েছে। আর তার ফলে নিস্ক্রিয় হয়ে গিয়েছে। আপাতত পুলিশ ওই বোমাগুলি উদ্ধার করেছে। তবে কে বা কারা ঐ বোমা গুলো ওখানে রেখেছে তা তদন্ত করছে কাশিপুর থানার পুলিশ।