Bollard

বিমানবন্দরের সুরক্ষায় থাকবে অদৃশ্য পাঁচিল

রিমোট কন্ট্রোলে তা মাটি ফুঁড়ে উঠে আসবে। যা রুখে দেবে ছুটন্ত গাড়ির গতি।

Advertisement

সুনন্দ ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ ০৩:৩২
Share:

ছবি পিটিআই।

আজ, শনিবার মুম্বই বিমানবন্দরে জঙ্গি হানার সতর্কবার্তা আগেই এসেছিল। এখন নিরাপদ নয় কলকাতা বিমানবন্দরও। জঙ্গিদের হামলা থেকে কলকাতা বিমানবন্দরকে সুরক্ষিত রাখতে তাই বসানো হচ্ছে অদৃশ্য পাঁচিল। যেটি থাকবে মাটির নীচে। প্রয়োজনে রিমোট কন্ট্রোলে তা মাটি ফুঁড়ে উঠে আসবে। যা রুখে দেবে ছুটন্ত গাড়ির গতি। শহরের বেশ কিছু পাঁচতারা হোটেলে ও বিদেশি দূতাবাসের প্রধান ফটকের সামনে গাড়ির গতি কমাতে এই ব্যবস্থা করা আছে। একে বলা হয় ‘বোলার্ড’।

Advertisement

কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, দেশের বিমানবন্দরগুলির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বুরো অব সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি (বিসিএএস) বেশ কিছু দিন ধরেই কলকাতায় এই বোলার্ড লাগানোর কথা বলে আসছে। ঠিক হয়েছে, শহরের দিক থেকে যে রাস্তাটি বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালে ঢুকছে, কৈখালির সেতু পেরোনোর পরে টোল বুথের আগে বসানো হবে ওই বোলার্ড। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এটি বসাতে ৩৫ লক্ষ টাকার মতো খরচ হবে।

প্রশ্ন উঠেছে, জঙ্গি হানা হলে গাড়ি যাতে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে পালিয়ে যেতে না পারে, সে জন্য বেরোনোর রাস্তায় বোলার্ড লাগানো কি বেশি যুক্তিযুক্ত নয়?

Advertisement

কর্তারা জানাচ্ছেন, বিমানবন্দরে ঢোকার রাস্তায় বোলার্ড লাগানোর পরে তা সফল ভাবে কাজ করতে শুরু করলে বেরোনোর রাস্তাতেও বসানো হবে।

এই মুহূর্তে বিমানবন্দরের ঢোকা-বেরোনোর পথে ‘টায়ার কিলার’ বসানো রয়েছে। সেটিও বাইরে থেকে দেখা যায় না। রাস্তার নীচে লুকোনো থাকে লোহার দাঁত। রিমোট কন্ট্রোল ব্যবহার করে ওই দাঁত উঠে আসে মাটির উপরে। তার উপর দিয়ে গাড়ি গেলে চারটি চাকাই ফেটে গাড়ি বসে যাবে। কর্তাদের যুক্তি, কলকাতা বিমানবন্দরে কোনও নাশকতামূলক কাজের পরে গতি বাড়িয়ে গাড়ি পালানোর চেষ্টা করলে সেখানেই আটকে যাবে। তবে বর্তমানে এই টায়ার কিলার বিমানবন্দরে ঢোকার রাস্তায় কাজ করছে না। মেট্রো রেলের কাজের জন্য চাপা পড়ে গিয়েছে সেটি। তাই বোলার্ড বসানোর কাজ আগে ওই পথে করা হবে।

বিমানবন্দরে ঢোকার মুখে টোল বুথের আগে সিআইএসএফ-এর পোস্ট রয়েছে। সেখান থেকেই রিমোটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হবে এই বোলার্ড। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ কর্তাদের যুক্তি, জঙ্গি হানার আগাম খবর এলেই স্বয়ংক্রিয় ভাবে বোলার্ড ব্যবহার করে বিমানবন্দরে ঢোকার গাড়িগুলির গতি আটকানো যাবে। ফলে, টার্মিনাল পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে না জঙ্গিরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement