পথ থেকে কাঠের গুঁড়ি সরিয়ে অবরোধ তুলছে। ছবি: সজলকুমার চট্টোপাধ্যায়
তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ির সামনে বোমাবাজি, তাঁর তিনটি দোকানে ভাঙচুর করে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল দলেরই এক নেতার দলবলের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে হাড়োয়া-বেড়াচাঁপা রোডে কাঠের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ হয়। পুলিশ ও দমকল বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শনিবার ভোরে দেগঙ্গা থানার হাদিপুর গড়পাড়া এলাকার ঘটনা। বেশ কয়েকজনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়।
হাদিপুর ঝিকড়া ১ পঞ্চায়েতের ১২৫ ও ১২৬ নম্বর বুথের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য কামালউদ্দিন মণ্ডলের অভিযোগ, শনিবার রাতে তাঁর বাড়ির সামনে বোমাবাজি হয়। বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে গেট ভেঙে বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করে একদল দুষ্কৃতী। বাড়ির পাশের দরমার বেড়া দেওয়া তিনটি দোকানে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালিয়ে এলাকা ছাড়ে দুষ্কৃতীরা। বোমাবাজির শব্দে অসুস্থ হয়ে পড়েন কামালউদ্দিনের মেয়ে ও তাঁর দশদিনের বাচ্চা। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ভোর ৫টা থেকে কামালউদ্দিনের অনুগামীরা দুষ্কৃতীদের ধরার দাবিতে পথ অবরোধ করেন। দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে দোকানের আগুন নেভায়। পুলিশ অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সামাস দেয়।
কামালউদ্দিনের দাবি, তাঁর বাড়ির সামনে হাড়োয়া রোডের পাশে প্রায় ৪ শতক জমি নিয়ে বহু দিন ধরে গন্ডগোল চলছে তরিকুল মণ্ডল, আমিরুল মণ্ডলদের সঙ্গে। কামালউদ্দিনের অভিযোগ, পিছন থেকে মদত দিচ্ছেন স্থানীয় প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য হাকিম মণ্ডল। হাকিম এখন হাদিপুর ঝিকড়া ১ অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি। জমির বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। গত শনিবার ওই জমিতে রাজ্য সরকারের জল প্রকল্পের একটি কল বসান কামালউদ্দিন। জমির দখল নিতেই এই হামলা বলে দাবি কামলউদ্দিনের।
এ বিষয়ে হাকিম বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন কামালউদ্দিন। আমি গোটা ঘটনার কিছুই জানি না। ওই জমির দাবিদার মনিরুল মণ্ডল, আমিরুল মণ্ডল। ওঁদের সঙ্গে গন্ডগোল কামালউদ্দিনের।”
এ বিষয়ে মনিরুল মণ্ডলের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। তাঁর ফোন বন্ধ থাকায় প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।