এখানেই রাখা হবে পাখিদের। — নিজস্ব চিত্র।
কিছু দিনের মধ্যেই সুন্দরবনের ঝড়খালিতে বার্ড এভিয়ারি বা পাখির খাঁচা চালু হত চলেছে। সেখানে সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রজাতির পাখি রাখা হবে পর্যটকদের দেখার জন্য। সাধারণ পাখি থাকবে একটি খাঁচায়, জলজ পাখিরা থাকবে আর একটি খাঁচায়। ইতিমধ্যেই দু’টি খাঁচা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। এ বার সেই খাঁচায় পাখিদের থাকার মতো ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়ে গেলেই তাদের রাখা হবে বলে জানিয়েছে বন দফতর।
গত বছর সুন্দরবনে পাখি উৎসবের মাধ্যমে জানা গিয়েছিল, প্রায় ১৪৫ প্রজাতির জলজ ও স্থলজ পাখি রয়েছে সুন্দরবনে। প্রতি বছরই নানা ভাবে বহু পাখি অসুস্থ হয়। কখনও ঘুড়ির মাঞ্জা দেওয়া সুতোয় আটকে জখম হয় পাখি, কখনও চোরা শিকারিদের পাতা ফাঁদে বা মাছ ধরার জালে আটকে গিয়ে জখম হয় তারা। সেই সব পাখিদের উদ্ধারের পরে তাদের শুশ্রূষা করা হবে ঝড়খালিতে। সেরে উঠলে পাখিগুলিকে এই খাঁচায় রাখা হবে বলে জানিয়েছে বন দফতর।
খাঁচার পাখিদের দেখার জন্য পর্যটকদের ছাড়পত্র দেওয়া হবে। ২৪ পরগনা বন বিভাগের বিভাগীয় বনকর্তা মিলনকান্তি মণ্ডল বলেন, “সারা বছর ধরেই সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তে নানা ভাবে বহু পাখি অসুস্থ ও জখম অবস্থায় উদ্ধার হয়। তাদের চিকিৎসার পরে এই খাঁচায় রাখা হবে। প্রয়োজনীয় নজরদারির মধ্যে রেখে সুস্থ করে তোলা হবে পাখিদের। পুরোপুরি সুস্থ হলে ফের প্রকৃতির মাঝে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।”
ঝড়খালিতে একই ভাবে অসুস্থ বাঘেদের চিকিৎসা করা হয়। সুন্দরবনের জঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়া বা লোকালয়ে ঢুকে পড়া অসুস্থ বাঘেদের ঠাঁই হয় সেখানে। সুস্থ হলে, শিকার ধরার মতো সক্ষম হলে সেগুলিকে ফের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে ঝড়খালিতে তিনটি বাঘ রয়েছে। সুন্দরবনে বেড়াতে আসা বেশিরভাগ পর্যটকদেরই জঙ্গলেপ বাঘ দেখার অভিজ্ঞতা হয় না। তাঁরা ঝড়খালিতে এলে খাঁচায় থাকা এই বাঘেদের দর্শন পান। এ বার সে ভাবেই সুন্দরবনের পাখির দর্শন তাঁরা পাবেন। চলতি মাসেই পাখির খাঁচা উদ্বোধন হতে পারে বলে জানিয়েছেন ডিএফও।