ভাঙড়ে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও এক ধাপ সুর চড়ালেন আরাবুল ইসলাম। ফাইল চিত্র ।
ভাঙড়ের কাশীপুরের গানেরআইট গ্রামে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তোলপাড় শুরু হয়েছে। সেই ঘটনায় আরও এক ধাপ সুর চড়ালেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। ভাঙড়ে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্ত আইএসএফ কর্মীদের গ্রেফতার করা না হলে সরাসরি থানা ঘেরাওয়ের হুমকি দিলেন তিনি। পাশাপাশি, দলের বিরুদ্ধে কেউ খারাপ ভাষা প্রয়োগ করলে ‘মেরে হাত-পা গুঁড়িয়ে দেওয়ার’ নিদানও দিয়েছেন ভাঙড়ের দাপুটে নেতা।
ভাঙড়ের কাশীপুরের গানেরআইট গ্রামে বিস্ফোরণে ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার গানেরআইট এলাকায় ধিক্কার মিছিল এবং প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন আরাবুল। প্রতিবাদ সভা থেকে সুর চড়িয়ে এবং পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে পুলিশকে। না হলে আগামী দিনে থানা ঘেরাও করা হবে।’’
পাশাপাশি দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে আরাবুল বলেন, ‘‘দলীয় কর্মীদের বলছি, তৃণমূলের নামে যাঁরা খারাপ ভাষা ব্যবহার করবেন, তাঁদের গ্রামের ভিতর থেকে ধরে আনতে হবে। ধরে এনে বেঁধে হাত-পা গুঁড়ো করে দিতে হবে।’’ সভা থেকে আইএফএফ নেতাদের ‘ছাগল চোর, মুরগি চোর’ বলে বিদ্রুপ করেন আরাবুল।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারের বিস্ফোরণের ঘটনায় ভেঙে পড়ে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী শরিফুল মোল্লার বাড়ির একাংশ। সেই ঘটনায় জখম হন শরিফুলের স্ত্রী রোশনারা বিবি। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশ ইতিমধ্যেই অপরিচিতদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে। তবে রোশনারার দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আইএসএফ-ই। বিষয়টি নিয়ে কাশীপুর থানায় ১৩ জন আইএসএফ কর্মীর নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আইএসএফের বিরুদ্ধে একই সুরে অভিযোগ করছেন আরাবুল-সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতারাও। যদিও ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছেন। আরাবুলের ‘মেরে হাত-পা গুঁড়িয়ে দেওয়ার’ মন্তব্য প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে নওশাদের সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তিনি ফোন ধরেননি।