টিকা নিচ্ছেন বাগদার বিডিও— নিজস্ব চিত্র।
তাঁরা চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মী নন। কিন্তু শনিবার রাজ্যে টিকাকরণ অভিযানের প্রথম দিনেই করোনার প্রতিষেধক নিলেন উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার বিডিও জ্যোতিপ্রকাশ হালদার এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায়।
এই ঘটনায় বিতর্ক সৃষ্টি হলেও তাঁদের টিকা নেওয়া ‘নিয়ম বিরুদ্ধ নয়’ বলে জানিয়েছেন বারাসত স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপসকুমার রায়। তাঁর দাবি, স্বাস্থ্য দফতরের কমিটির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি হলেই প্রথমে পাওয়ার যোগ্য। বিবিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সেই তালিকায় রয়েছেন। যদিও প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা টিকা পাবেন বলে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বলা হয়েছিল।
বাগদায় বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির টিকাকরণ নিয়ে বাগদায় রয়েছে গুঞ্জন। শনিবার বিকেলে সেই বিতর্কের ইতি টানার চেষ্টা করেন জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত। বারাসত কোভিড ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে তিনি জানান, জেলার ১৬টি কেন্দ্রে ১,৬০০ মানুষ টিকা পাবেন। সরবরাহ অনুযায়ী বাকিদেরও টিকা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসনের একটি সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছিল, যে সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রথম সারিতে থেকে কাজ করেছেন তাঁদেরকেই টিকা দেওয়া হবে। এ বিষয়ে বনগাঁ জেলা বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মন্ডল বলেন, তৃণমূল তোষণের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছে বলেই স্বাস্থ্যকর্মীদের থেকেও নিজেদের স্বার্থ বড় করে দেখছে। তাই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি টিকা নিচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে তাপসকুমার জানিয়েছেন, রোগী কল্যাণ সমিতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে গোপাকেও সামনের সারিতে থেকে কাজ করতে হয়েছে। তাই তিনি টিকা পাওয়ার যোগ্য।