— প্রতীকী ছবি।
আন্তর্জাতিক প্রতারণাচক্রের পর্দাফাঁস করল পুলিশ। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ উত্তরাখণ্ডের দেহরাদূনে গিয়ে ওই চক্রের পাণ্ডাকে গ্রেফতার করে। ধৃতকে শনিবার আদালতে তোলা হলে তাঁকে ১০ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতারণা করে রোজগার করা প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা ‘ফ্রিজ’ করেছে পুলিশ।
কম্পিউটারে বিশেষ সফ্টঅয়্যার ব্যবহার করে নিশানা করা হত প্রথম বিশ্বের দেশের বাসিন্দা অপেক্ষাকৃত বয়স্কদের। বিভিন্ন পরিষেবা দেওয়ার নাম করে প্রথমে ভাব জমিয়ে তার পর আমেরিকা এবং কানাডার প্রবীণ নাগরিকদের অ্যাকাউন্ট সাফ করে দেওয়া হত। গত ১৮ অক্টোবর খড়দহের বলরাম হাসপাতালের কাছের একটি কল সেন্টার থেকে ১৩ জনকে গ্রেফতার করে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ। তাঁদের টানা জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, চক্রের ‘কিংপিন’ রয়েছেন দেহরাদূনে। এর পর বাংলার পুলিশ উত্তরাখণ্ডে পৌঁছে যায়। দেহরাদূন পুলিশের সহায়তা নিয়ে সেখানে একটি বিলাসবহুল হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয় চক্রের পাণ্ডা সৈয়দ শাহবাজকে। এ ছাড়াও পুলিশের জালে ধরা পড়ে আরও পাঁচ জন। প্রতারণা চক্রের কাণ্ডকারখানা সম্পর্কে সম্যক ধারণা পেয়ে চোখ কপালে ওঠে পুলিশের। জানা যায়, প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ইতিমধ্যেই চক্রটি ৮ হাজার কোটি টাকা রোজগার করে ফেলেছে। সঙ্গে সঙ্গে গোটা টাকা ‘ফ্রিজ’ করে দেয় পুলিশ। ধৃত সৈয়দ শাহবাজ হাসান, সনু জায়সওয়াল,আনিসকুমার ঠাকুর, কৃষ্ণকুমার সিংহ, হর্ষ দিনানী এবং ফারহাদ হুসেন— এই ছ’জনকে নিয়ে দেহরাদূন থেকে ব্যারাকপুর আসেন কমিশনারেটের গোয়েন্দারা। শনিবার তাঁদের আদালতে তোলা হয়। আদালত তাঁদের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
ধৃতদের কাছ থেকে পুলিশ একটি ল্যাপটপ, দামি অডি গাড়ি এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে। ধৃতদের জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে চাইছেন, এই চক্রের পিছনে আরও কারা জড়িত।