পৌনে তিন কিলোমিটার রাস্তায় ন’জায়গায় ফাটল!
ভাঙা রাস্তায় পাথর, বালি বেরিয়ে হড়কাচ্ছে মোটরবাইক, সাইকেল। রাস্তার মাঝে তৈরি হয়েছে গর্ত। সেখানে জল জমে ছোট ডোবার আকার নিয়েছে। বর্ষা না এলেও এ পথের বহু জায়গায় বর্ষার রাস্তার অনুভূতি পান পথচারীরা।
হালিশহরের কর্ণেল কেপি গুপ্ত রোডের এই ছবিটা রোজকার। গোটা হালিশহর জুড়ে উন্নয়নের জোয়ার। কিন্তু হালিশহর স্টেশন থেকে ঘোষপাড়া রোডের বলদেঘাটা পর্যন্ত পৌনে তিন কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার হয়নি বহু বছর বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। অভিযোগের সত্যতা মেনে নিয়েছেন হালিশহরের পুরপ্রধান তৃণমূলের অংশুমান রায়ও। অংশুমানবাবু বলেন, ‘‘এই রাস্তাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। হালিশহর স্টেশন থেকে ঘোষপাড়া রোড পর্যন্ত এই রাস্তা দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল করে। মূলত রেলের সরঞ্জাম নিয়ে ওই ভারি ট্রাকগুলি যাতায়াত করে। ওই রাস্তার তলা দিয়ে বহু পুরনো জলের পাইপ লাইন রেল ফ্যাক্টরি পর্যন্ত গিয়েছে। সেটা ফেটেই এই বিপত্তি।’’ পুরসভার পূর্ত বিভাগ সূত্রের খবর, রাস্তার উপর ভারি গাড়ির চাপ নিতে না পেরেই পাইপ ফেটেছে। অবিলম্বে এই পাইপ সারানোর ব্যবস্থা না করলে ফাটলের পরিমাণ বাড়তেই থাকবে।
পুরসভার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই রাস্তার নীচের পাইপ লাইন সারানোর দায়িত্ব রেলের। কিন্তু রেলকে একাধিকবার জানানোর পরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কিছুদিন আগে এই রাস্তা সারানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখান ও অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অংশুমানবাবু বলেন, ‘‘রেলকে আমি জানিয়েছি চিঠি লিখে। এটা সারানো না হলে যে কোনও দিন বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে।’’
বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই রাস্তার ধারে বেশিরভাগ দোকানপাট। ব্যাঙ্ক এবং অন্য অফিসও আছে। হালিশহরের লাইফলাইন বলা চলে এই রাস্তাকে। সেটি বন্ধ করে কাজ করলে মানুষের যাতায়াতেরও সমস্যা হবে। বড় রকমের ধ্বস বা ফাটল ধরলে রাস্তা বন্ধ করা ছাড়া উপায়ও থাকবে না বলে দাবি পুরসভার বাস্তুকারদের।
পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে ওই রাস্তাটি জরিপ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, ‘‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এই রাস্তাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। মাপজোক করে খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে। রাস্তা সারানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’’