— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মোটরবাইক চালকের হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক করতে এ বার বিশেষ পদক্ষেপ করল কলকাতা পুলিশের ভাঙড় ট্র্যাফিক গার্ড। সম্প্রতি ওই ট্র্যাফিক গার্ডের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। দায়িত্বভার গ্রহণের পরে এ দিনই ভাঙড় ডিভিশন ও ভাঙড় ট্র্যাফিক গার্ড এক মাস পূর্ণ করল। গত এক মাস ধরে ভাঙড়ের ট্র্যাফিক ব্যবস্থার উন্নতি করার পাশাপাশি ওই আইন সম্পর্কে মানুষকে নানা ভাবে সচেতন করা হয়েছে। তার পরেও অনেকের মধ্যেই সিগন্যাল না মানার মানসিকতা রয়ে গিয়েছে। এ ছাড়াও বেআইনি গাড়ি পার্কিং, হেলমেট না পরা, ওভারটেক করা-সহ বিভিন্ন প্রবণতা নজরে এসেছে বলে সূত্রের খবর।
গত এক মাসে ট্র্যাফিক গার্ডের পক্ষ থেকে জনসচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা ছাড়াও মামলা করা হয়েছে। ট্র্যাফিক গার্ড সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত মামলা হয়েছে ১৫০টি। এর মধ্যে হেলমেট না পরা, ওভারটেক করা-সহ বিভিন্ন বিষয় রয়েছে। প্রায় ৮০০টি ‘সাইটেশন কেস’ হয়েছে। এর মধ্যে বেশি জোরে গাড়ি চালানো, সিগন্যাল ভাঙা, হেলমেট না পরার মতো বিভিন্ন বিষয় আছে। এ বার আইন ভাঙলে সরাসরি অভিযুক্তের মোবাইলে মেসেজ চলে যাবে। সেই বার্তায় থাকবে কী কারণে এবং কোন ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বুধবার ভাঙড় ট্র্যাফিক গার্ডের পক্ষ থেকে ভাঙড়, ঘটকপুকুরের বিভিন্ন মোটরবাইক শোরুমে গিয়েও সচেতন করা হয়। ট্র্যাফিক গার্ডের ওসি মিদ্দা ইমামউদ্দিন নিজে বিভিন্ন মোটরবাইক শোরুমে গিয়ে সেখানকার কর্তা ও কর্মীদের বোঝান, নতুন মোটরবাইক বিক্রি করার সময়ে যেন ক্রেতার হেলমেট পরা নিশ্চিত করা হয়। এ দিন ঘটকপুকুর চৌমাথা, বড়ালিঘাট, নলমুড়ি, চণ্ডীপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় ১২০টির মতো স্প্রিং পোস্ট লাগানো হয়েছে। ওই সমস্ত এলাকায় এ দিনও নতুন করে ফ্লেক্স, সচেতনতামূলক বোর্ড লাগানো হয়।
ট্র্যাফিক ব্যবস্থা ঢেলে সাজতে ও নজরদারি বাড়াতে বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। ওই সমস্ত এলাকায় ‘আমরা হেলমেট পরব, নিজেদের বাঁচাব’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানুষকে সচেতনও করা হয়। ঘটকপুকুরের এক মোটরবাইক শোরুমের মালিক জাহাঙ্গির আলম (পাপ্পু) বলেন, ‘‘এমনিতে আমরা মোটরবাইক বিক্রি করার পরে ক্রেতাদের হেলমেট পরার জন্য বলি। পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদেরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, হেলমেট পরা কতটা জরুরি, তা বোঝানোর জন্য।’’
ইমামউদ্দিন বলেন, ‘‘আমরা চাই, প্রতিটি মানুষ ট্র্যাফিক আইন মেনে চলুন এবং হেলমেট পরুন। প্রতিনিয়ত এ কথাই মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’’