পরিষ্কার হয় না নালা। কুমড়াবাজারে। ছবি: সুজিত দুয়ারি
জ্বরে ভুগে মৃত্যু ঘটল হাবড়ার এক মহিলার। বুধবার দুপুরে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান সবিতা মল্লিক (৪৫)। বাড়ি হাবড়ার কাশীপুর এলাকায়। মৃতের পরিবারের লোকজনের দাবি, রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গি ধরা পড়েছিল। যদিও মৃত্যুর শংসাপত্রে সে কথার উল্লেখ নেই। লেখা আছে, ‘কার্ডিয়াটিক অ্যারেস্ট।’
১ নভেম্বর সবিতা জ্বরে আক্রান্ত হন। পরিবারের লোকজন তাঁকে ভর্তি করেন মছলন্দপুর ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে রক্ত পরীক্ষা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকেরা ৫ নভেম্বর তাঁকে বারাসত জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। ওই দিনই বারাসত হাসপাতাল থেকে তাঁকে আরজিকরে পাঠানো হয়। আট দিন ধরে আইসিসিইউতে ছিলেন সবিতা। বুধবার দুপুরে মারা যান।
তাঁর দুই ছেলে। স্বামী বিধান ছোটখাট কাজ করেন। সবিতার দাদা সবিনয় বলেন, ‘‘রক্ত পরীক্ষায় বোনের ডেঙ্গি ধরা পড়েছিল বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন। আমরা কিন্তু বোন জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। তাও বাঁচাতে পারলাম না।’’
স্থানীয় গ্রামবাসীদের ক্ষোভ, দুর্গাপুজোর পর থেকে এলাকায় মশা মারার কাজ কার্যত বন্ধ। চুন-ব্লিচিং-তেল কিছুই ছড়ানো হচ্ছে না। এলাকায় মশা উপদ্রব জারি আছে। বৃহস্পতিবার অবশ্য স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের উপস্থিতিতে মশা মারতে চুন-ব্লিচিং-তেল ছড়ানো হয়েছে। ঝোপ জঙ্গলও কিছু সাফ করা হয়েছে। সুবিনয় বলেন, ‘‘মশা মারার কাজে গতি থাকলে হয় তো বোনকে মরতে হত না।’’