—প্রতীকী চিত্র।
হুমকি ফোন পাওয়া ব্যবসায়ী অজয় মণ্ডলকে নিরাপত্তা দিল পুলিশ। গত শনিবার বেলঘরিয়ার রথতলায় তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। রবিবার রাত থেকে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের দু’জন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে অজয়ের সঙ্গে। অন্য দিকে, ব্যারাকপুরের আর এক ব্যবসায়ীর কাছেও হুমকি ফোন এসেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ওই ফোন পেয়ে সোমবার টিটাগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ব্যারাকপুরের রেস্তরাঁ ব্যবসায়ী তাপস ভগত। তাপসের দাবি, তাঁকে ফোনে বলা হয়— ‘‘অজয় মণ্ডলের উপরে হামলা হয়েছে, এ বার তোমার পালা।’’ তাঁর আরও দাবি, বিহারের জেল থেকে ওই ফোন আসে। টাকা না দেওয়ায় সুবোধ সিংহই ফোন করেছে। যদিও তাপস সুবোধের ‘লিঙ্ক ম্যান’ বলে অভিযোগ করেছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ।
অন্য দিকে, সোমবার অজয় বলেন, ‘‘আতঙ্ক এখনও কাটেনি। তবে নিরাপত্তা দেওয়ায় তা অর্ধেক কমেছে।’’ তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে এ দিন বেলঘরিয়া থানার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্যারাকপুরের নগরপাল অলোক রাজোরিয়া। তিনি বলেন, ‘‘এখনও কোনও আটক বা গ্রেফতার নেই। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
সূত্রের খবর, গুলি-কাণ্ডের তদন্তে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠছে। যেমন, সুবোধের সঙ্গে কি শাহজাদার যোগ আছে? একাংশের দাবি, সুবোধ ফের টিটাগড়ে ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। অজয় আগে তার ফোন না ধরায় হয়তো গুলি চালিয়ে সুবোধ বার্তা দিতে চেয়েছে যে, ফোন না ধরলে ও কথা মতো কাজ না করলে বড় বিপদ হবে। শুধু অজয়কেই নয়, সকলকেই হুঁশিয়ারি দিতে সুবোধ এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে মত পুলিশের। অজয়ের থেকে নিয়মিত টাকা নেওয়া শাহজাদা কেন হামলা চালাবে, তা-ও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। একদা বিহারে অপরাধ করে টিটাগড়ে এসে লুকোত সুবোধ। মণীশ শুক্লকে খুনের পরে সে এলাকা নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। যার নেপথ্যে কোনও রাজনৈতিক প্রভাবশালীর পরোক্ষ মদতের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেকেই। জেলে বসে টিটাগড়ে সাম্রাজ্য বিস্তারে শাহাজাদার সঙ্গে সুবোধ হাত মিলিয়েছে কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।